প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর ব্যাটসম্যানদেরও দুষলেন রশিদ খান।
Published : 14 Jul 2023, 11:39 PM
টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ছাপিয়ে শেষের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। পরে বোলারদের দারুণ শুরুতে জয়ের আশাও জাগায় সফরকারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা। এই হারের জন্য আফগান অধিনায়ক রশিদ খান দায় দিলেন, ভেজা মাঠকে।
সিলেটে শুক্রবার প্রায় সারা দিনই ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। তবে ম্যাচে খুব একটা বাগড়া দেয়নি প্রকৃতি। এক পশলা বৃষ্টিতে স্রেফ ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা। এতেই যেন নিজেদের সর্বনাশ দেখছে আফগানিস্তান। রশিদের মতে, ভেজা মাঠের কারণে কঠিন হয়ে পড়েছিল বোলিং করা।
বৃষ্টি নামার আগে ম্যাচে পরিষ্কার এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। ১৫৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তখন ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে ধুঁকছে। বৃষ্টির বিরতি শেষে খেলা শুরু হওয়ার পর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত করে তারা।
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসান যখন আউট হন, তখনও ৫৯ বলে প্রয়োজন আরও ৯১ রান। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে স্বাগতিকরা।
পঞ্চম উইকেটে স্রেফ ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে দেন তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ত্রয়োদশ ওভারেই মূলত ঘুরে যায় খেলা। তিন চারের সঙ্গে একটি ওয়াইড থেকে চারে ২১ রান আসে ওই ওভারে। ৪৮ বলে ৭৬ থেকে সমীকরণ নেমে আসে ৪২ বলে ৫৫ রানে।
এরপর আর তেমন ভাবতে হয়নি বাংলাদেশকে। শামীমের বিদায়ের পরও তেমন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাটট্রিকে উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। বাউন্ডারি মেরে যা উড়িয়ে দেন শরিফুল ইসলাম।
জয়ের জোর সম্ভাবনা জাগিয়েও ম্যাচ হারের পর পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে পরাজয়ের কারণ খুঁজে নেন রশিদ।
“সত্যি বলতে মাঠ অনেক ভেজা ছিল। আমাদের শক্তি-সামর্থ্য ৫০ শতাংশ কমে গেছে ভেজা বলের কারণে। তবু আমরা ভালো বোলিং করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের দলের প্রচেষ্টা ছিল দারুণ।”
টস হেরে ব্যাটিং পাওয়ার পর আফগান অধিনায়ক বলেছিলেন, দেড়শ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে চায় তার দল। মোহাম্মদ নবির ৪০ বলে ৫৪ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে দেড়শ ছাড়ায় তারা।
কিন্তু ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থই ছিল আফগানিস্তানের টপ-অর্ডার। পাওয়ার প্লেতেই তারা হারায় ৩ উইকেট। পঞ্চাশ পেরোনোর পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন চার নম্বরে নামা করিমও। ফলে শেষ হয়ে যায় বড় স্কোরের আশা।
ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা ছিল রশিদের।
“আমাদের যেমন বোলিং আক্রমণ, তাতে এই রান যথেষ্ট ছিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে একটি ইনিংসই ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে পারে। টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আরেকটু সাবধানী হলে আমরা আরও ২০-২৫ রান বেশি পেতে পারতাম।
দায়িত্ব নিয়ে দলকে দেড়শ পার করানোয় অধিনায়কের বাহবা পেলেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নবি।
“সে (নবি) যেভাবে খেলেছে, দারুণ। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। খেলা গভীরে নিয়ে গেছে। পিচ দুর্বোধ্য ছিল না। সে যেভাবে খেলেছে, দুর্দান্ত ছিল। তার জন্য অনেক খুশি।”