টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল ক্যারিবিয়ানরা।
Published : 03 Jun 2024, 12:22 AM
ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা শক্তিমত্তায় দুই দলের পার্থক্য বিশাল। তবে মাঠের লড়াইয়ে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের চোখে চোখ রেখে লড়াই করল পাপুয়া নিউ গিনি (পিএনজি)। বিশেষ করে, অল্প পুঁজি নিয়েও দারুণ বোলিংয়ে আশা জাগাল দলটি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেরে উঠল না তারা। স্বস্তির জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল ক্যারিবিয়ানরা।
গায়ানায় রোববার ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের জয় ৫ উইকেটে।
১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিল ৪০ রান। তবে রোস্টন চেইস ও আন্দ্রে রাসেলের নৈপুণ্যে এক ওভার বাকি থাকতে জিতে যায় স্বাগতিকরা।
বল হাতে উইকেটশূন্য থাকলেও ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা চেইস।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় পিএনজি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে কেবল ৩৪ রান।
পঞ্চাশের মধ্যে চার ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে চার্লস আমিনির সঙ্গে ইনিংস সেরা ৪৪ রানের জুটি গড়েন সেসে বাউ। একশর আগে বিদায় নেন অবশ্য দুজনই।
৪৩ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন বাউ। ৬ চার ও এক ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি।
শেষ দিকে কাপলিন ডোরিগার ১৮ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৩৬ পর্যন্ত যেতে পারে পিএনজি। শেষ ৩ ওভারে তারা যোগ করে ৩৭ রান।
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ভালো ছিল না। কদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৬ বলে ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা জনসন চার্লস ফেরেন ‘গোল্ডেন ডাক’ এর তেতো স্বাদ পেয়ে।
একটু পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। আবার খেলা শুরু হলে দলকে এগিয়ে নেন ব্যান্ডন কিং ও নিকোলাস পুরান। ৪২ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা। দুই থিতু ব্যাটসম্যানই বিদায় নেন পরপর দুই ওভারে।
পুরান ২ চার ও এক ছক্কায় ২৭ রান করতে খেলেন ২৭ বল। কিং ৭ চারে ২৯ বলে করেন ৩৪ রান।
পরে অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ড দ্রুত বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। তবে কোনো অঘটন ঘটতে দেননি রাসেল ও চেইস। ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাপুয়া নিউ গিনি: ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (উরা ২, ভালা ২১, সিয়াকা ১, বাউ ৫০, হিরি ২, আমিনি ১২, ডোরিগা ২৭*, সোপার ১০, নাও ০, মোরিয়া ২*; আকিল ৩-০-৯-১, শেফার্ড ৩-০-২৩-১, রাসেল ৩-০-১৯-২, চেইস ৪-০-২৬-০, জোসেফ ৪-০-৩৪-২, মোটি ৩-০-২৪-১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯ ওভারে ১৩৭/৫ (কিং ৩৪, চার্লস ০, পুরান ২৭, চেইস ৪২, পাওয়েল ১৫, শেফার্ড ২, রাসেল ১৫*; মোরিয়া ৩-০-৩০-০, নাও ২-১-৯-১, সোপার ৩-০-১৯-১, বাউ ১-০-১৮-০, কারিকো ৪-০-১৭-১, ভালা ৪-১-২৮-২, আমিনি ২-০-১৪-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রোস্টন চেইস