Published : 04 May 2025, 07:38 PM
ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর নিজেই অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ব্যাটে রান না থাকলেও সামনের দুই সিরিজের দলে ঠিকই জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বেশি না থাকায় শান্তকে নিয়েছেন তারা।
সবশেষ বিপিএলে পাঁচ ম্যাচ খেলার পর আর সুযোগ পাননি শান্ত। জাতীয় দলের হয়েও লম্বা সময় বলার মতো তেমন কোনো পারফরম্যান্স ছিল না সাবেক অধিনায়কের।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ১৮ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। এই সময়ে মাত্র ১৫.৮৩ গড় ও ৯৮.৬১ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ২৮৫ রান। এই সংস্করণে সবশেষ ২৯ ইনিংসে তার পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস স্রেফ একটি।
সার্বিকভাবেও টি-টোয়েন্টিতে ভালো নয় শান্তর পারফরম্যান্স। ২০১৯ সালে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯টি ম্যাচ খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৪ ফিফটিতে ২২.৮৫ গড় ও ১০৮.৩৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ৯৬০ রান।
সবশেষ বিপিএলে পাঁচ ইনিংসে চারবারই দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হন শান্ত। সব মিলিয়ে করতে পারেন মাত্র ৫৬ রান। এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দুটি ৭০ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন তিনি। বিশ ওভারের ক্রিকেটে সবশেষ ২৮ ইনিংসে শান্তর ফিফটি ওই দুটিই।
পারফরম্যান্সের নাজুক অবস্থায় এই সংস্করণ থেকে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে তাকে নিয়েই সামনের সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেন নির্বাচকরা।
লম্বা সময় ধরে ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা শান্তকে দলে রাখার ব্যাখ্যায় অভিজ্ঞতার কথা বলেন প্রধান নির্বাচক।
“শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন, অভিজ্ঞতাও দরকার আছে। ওপরের দিকে সৌম্য আছেন, নব্বইয়ের কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন। লিটন দাস আছেন। এরপর যদি আপনি তাকান, দেখবেন যে বিস্তর ফারাক আছে।”
“শান্তর হয়তো ৫০ হয়নি, চল্লিশের আশেপাশে তার ম্যাচ (৪৯টি)। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলের সঙ্গে নিতে হবে। এই জায়গায় হয়তো কয়েকজন দৌড়ে থাকতে পারেন। (মাহিদুল ইসলাম) অঙ্কন, নাঈম শেখ বা নিচের দিকে এক-দুইজন আছেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তারা প্রক্রিয়ায় আসবেন।”
শান্তর সম্ভাব্য ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অবশ্য ধারণা দেননি নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, অধিনায়ক লিটন কুমার দাসকে তিন নম্বরের জন্য বিবেচনা করছেন তারা। সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ের জন্য আছেন সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান ও পারভেজ হাসান ইমন।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৭ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই মাঠে পরের ম্যাচ ১৯ তারিখ। এরপর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাবে তারা।
দুই দেশের সাত ম্যাচের সফরের জন্য সোমবার থেকে অনুশীলন শুরুর কথা বাংলাদেশের।