পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে হাসিমুখেই দেখা গেল তাসকিন আহমেদকে। ছবির জন্য পোজ দিলেন তিনি চওড়া হাসিতে। একটু পর সংবাদ সম্মেলনেও ঢুকলেন তিনি ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়েই। তবে মুখের হাসিতে হৃদয়ের ছবি তার ফুটে উঠছে না পুরোপুরি। মনের কোণে যে আক্ষেপও আছে কিছুটা!
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যান অব দা সিরিজের স্বীকৃতি পেয়েছেন তাসকিন। প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ১৬ রান দিয়ে। পরের ম্যাচে নেন ৩ উইকেট। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয়ে পল স্টার্লিংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে সুবিধে করতে পারেননি বাংলাদেশের বেশির ভাগ বোলার। উজ্জ্বল ব্যতিক্রম সেখানে তাসকিনই। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে প্রাপ্তি ১ উইকেট।
সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে তার শিকার ৮ উইকেট। আর কোনো বোলার সিরিজে ৫ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন তিনি ৭.১০ করে, বোলিং গড় ৮.৮৭। প্রতি ৭.৫ ডেলিভারিতে নিয়েছেন তিনি একটি করে উইকেট।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয়ে ৩ ম্যাচে ঠিক ৮ উইকেট নিয়েই ম্যান অব দা সিরিজ হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার সিরিজ সেরা হলেন এবার। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের সেই সন্তুষ্টি তার আছে। তবে দিনশেষে দলের জয়ই তো আসল! সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাসকিনের আফসোস সেখানেই।
“প্লেয়ার অব দা সিরিজ হয়ে অবশ্যই ভালো লাগছে। তবে আজকে জিততে পারলে মনটা আরেকটু খুশি হতো। যদিও এটা ক্রিকেটেরই অংশ যে একদিন জিতব, আরেকদিন হারব। জিততে পারলে অনেক ভালো লাগত। তবে ঠিক আছে… এটাও আমরা মেনে নিয়েছি যে আজকে বাজে ছিল ছিল, সামনে ভালো হবে আশা করি।”
“আরেকটু হয়তো ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম আমরা, কারণ আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়ে গেছে এরকম। তবে আমাদের ইন্টেন্ট এরকম ছিল যে ইতিবাচক মানসিকতায় খেলা, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা। আজকে একটা খারাপ ছিল আসলে।”