নিলামের টেবিলে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড গড়লেও স্যাম কারানের সেই অভিজ্ঞতা নেই, বললেন বিরেন্দর শেবাগ।
Published : 21 Apr 2023, 03:05 PM
নিলামের টেবিলে স্যাম কারান ঝড় তুলতে পারেন। কিন্তু ২২ গজের লড়াই ভিন্ন। বিরেন্দর শেবাগ মনে করিয়ে দিলেন, নিলামের সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া মানেই ক্রিকেট মাঠে ভালো করার নিশ্চয়তা নয়। এই ভারতীয় গ্রেটের মতে, মাঠে সবচেয়ে বেশি মূল্য অভিজ্ঞতার।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যান অব দা ফাইনাল ও ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হওয়ার পর আইপিএলের নিলামে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় কারানকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে দলে পায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, যা আইপিএলের ইতিহাসেই ভারতীয় ও বিদেশি মিলিয়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
তবে কারানের পারফরম্যান্সে এখনও পর্যন্ত প্রত্যাশার প্রতিফলন পড়েনি। ৬ ম্যাচে তিনি স্রেফ ৫ উইকেট নিতে পেরেছেন ওভারপ্রতি ৮.১৯ রান দিয়ে। ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে রান করেছেন ১১৭.৫৬ স্ট্রাইক রেটে মোটে ৮৭।
চোটের কারণে মূল অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে সবশেষ দুই ম্যাচে পাঞ্জাবকে নেতৃত্বও দেন কারান। তাতে একটি জিতেছে দল, একটিতে হেরেছে। কারান নিজে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি সেভাবে।
শেবাগ চটেছেন মূলত সবশেষ ম্যাচে কারানের আউট হওয়ার ধরনে। মোহালিতে বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ১০ রান করে রান আউট হয়ে যান কারান। রান নিতে ছোটার সময় যথেষ্ট দ্রুত ছুটতে দেখা যায়নি তাকে। সেটির খেসারত দিতে হয় রান আউট হয়ে। ধারাভাষ্যকক্ষে সাইমন ডুলও তখন বলেন, আলসে ভঙ্গিতে দৌড়াচ্ছিলেন কারান।
১৭৫ রান তাড়ায় বিপর্যয়ে থাকা পাঞ্জাব লড়াই থেকে আরও ছিটকে পড়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের বিদায়ে। শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যায় ২৪ রানে।
পাঞ্জাবের হয়ে একসময় আইপিএল মাতানো ও দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করা শেবাগ ম্যাচের পর ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-এ আলোচনায় বললেন, নিলামে কারান অনেক মূল্য পেলেও অভিজ্ঞতায় এখনও বেশ পিছিয়ে।
“সে একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। কিন্তু ১৮ কোটি রুপিতে অভিজ্ঞতা কেনা যায় না। অভিজ্ঞতা হয় কেবল খেললে। রোদের মধ্যে দিনের পর দিন খেলতে খেলতে যখন চুল পেকে যায়, তখন অভিজ্ঞতা আসে।”
“আমরা স্রেফ মনে করি যে, ১৮ কোটি রুপিতে তাকে কেনা হয়েছে মানেই সে ম্যাচের পর ম্যাচ জেতাবে। তবে তার তো অভিজ্ঞতা ততটা নেই। খুব বাজে রানিং ছিল এটি। কোনো দরকারই ছিল না এটার। দলের অধিনায়ক হিসেবে তার প্রয়োজন ছিল উইকেটে থাকা, শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নেওয়া। তবে যেটা বললাম, অভিজ্ঞতার ঘাটতির মূল্য দিতে হয়েছে তাকে।”