এবার লক্ষ্ণৌর উইকেটের আচরণে হতবাক পান্ডিয়া

ম্যাচ জিতলেও উইকেটে স্পিনারদের অত্যধিক সুবিধা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2023, 08:58 AM
Updated : 30 Jan 2023, 08:58 AM

নিয়মিত তিন স্পিনারের কোটা পূরণের পাশাপাশি খণ্ডকালীন স্পিনারকে দিয়েও ৪ ওভার করালেন মিচেল স্যান্টনার। পিচে প্রবলভাবে স্পিন ধরতে দেখে তিনি আনলেন পঞ্চম স্পিনারও। লক্ষ্ণৌতে রোববারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের উইকেটের আচরণ বুঝতে এটুকুই যথেষ্ট। 

শেষ পর্যন্ত জিততে না পারলেও ভারতের মাটিতে স্পিন দিয়েই ভারতকে প্রায় কাবু করে ফেলেছিল নিউ জিল্যান্ড। ১০০ রানের ছোট লক্ষ্যে স্রেফ ৪ উইকেট হারালেও ভারতকে খেলতে হয় ১৯.৫ ওভার। পরপর দুই ম্যাচে এমন উইকেট দেখে কিছুটা বিরক্ত ভারতের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। 

ম্যাচে দুই দল মিলে স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছে ৩০ ওভার। টেস্ট খেলুড়ে দুই দেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ স্পিনার ব্যবহারের রেকর্ড। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের স্পিনাররাই করে ১৭ ওভার। আর কোনো ম্যাচে এত বেশি স্পিনার ব্যবহার করেনি তারা। 

প্রথম ইনিংসে চার স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদিপ যাদব ও দিপক হুডাকে দিয়ে ১৩ ওভার বোলিং করান হার্দিক পান্ডিয়া। প্রত্যেকেই পান সাফল্য। 

এরপর স্রেফ ৯৯ রানের পুঁজি নিয়েই উইকেটের সহায়তা কাজে লাগিয়ে ভারতকে কাঁপিয়ে দেয় নিউ জিল্যান্ড। শিশিরের উপদ্রব থাকলেও পাঁচ স্পিনারের কারো বোলিং করতে কোনো সমস্যা হয়নি। বাড়তি টার্ন ও বাউন্সে ভারতের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখেন স্যান্টনার, ইশ সোধি, মাইকেল ব্রেসওয়েলরা। 

বল এতটাই ঘুরছিল যে, খণ্ডকালীন স্পিনার গ্লেন ফিলিপসের কোটাও শেষ করে ভারতের ইনিংসের ১৭তম ওভারে আরেক খণ্ডকালীন স্পিনার মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে বল তুলে দিতে দ্বিধা করেননি স্যান্টনার। পরে তিনি নিজে করেন ১৮তম ওভার। 

পুরো ম্যাচে দুই দল মিলে ২৩৯ বল খেলেও কেউ কোনো ছক্কা মারতে পারেনি। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দেশের ম্যাচে ছক্কাবিহীন সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচের রেকর্ড এটি। 

রাঁচিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে এতটাও কঠিন ছিল না উইকেট। তবু স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন দুই দলের অধিনায়কই। এবার লক্ষ্ণৌতেও এমন উইকেট দেখে হতবাক ভারতের অধিনায়ক। 

জয় পেলেও ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে এমন উইকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পান্ডিয়া। 

“সত্যি বলতে, এটি হতবাক করার মতো উইকেট। (সিরিজে) দুইটি ম্যাচ খেললাম, একই রকম উইকেট। কঠিন উইকেটে খেলতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু এই দুইটি উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য নয়। আমরা যেখানে খেলতে যাব, কিউরেটরদের আগেই সেসব উইকেট প্রস্তুত করা উচিত।” 

“এমনকি ১২০ রান করলেও এখানে জেতার জন্য যথেষ্ট হতে পারত। শিশির তেমন কোনো প্রভাবই ফেলেনি। কারণ তাদের স্পিনাররা আমাদের চেয়েও বেশি বল স্পিন করাতে পারছিল।” 

পান্ডিয়ার মতো উইকেট নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি স্যান্টনার। তবে ব্যাটসম্যানদের কাজ যে সহজ ছিল না, তা নিয়ে সংশয় নেই কিউই অধিনায়কের। 

“খুব ভালো ম্যাচ হয়েছে। বোলারদের নৈপুণ্যেই আমরা লড়াই করতে পেরেছি। আর ১০-১৫ রান করতে পারলে ভিন্ন কিছুও হতে পারত। আমরা স্পিনারদের দিয়ে ১৬-১৭ ওভার করিয়েছি, অবশ্যই এটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। (উইকেটের) বাউন্স দেখে খুবই চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে।”