প্রতিপক্ষের শেষের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত ফেরাতে না পারা নিয়ে দুর্ভাবনার কথা স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ।
Published : 30 Oct 2024, 09:30 PM
প্রথম সেশনে পরপর তিন ওভারে উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্রুত আঘাত হানলেন নাহিদ রানা। বাংলাদেশের ভাবনায় তখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্রুত অল আউট করার পরিকল্পনা। কিন্তু কিসের কী! আর কোনো উইকেটই পড়ল না। রানের পাহাড় গড়ল প্রোটিয়ারা। শেষের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত ফেরাতে না পারা নিয়ে দুর্ভাবনার কথা স্বীকার করে নিলেন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবসের পর তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান ভিয়ান মুল্ডার। সপ্তম উইকেটে তার সঙ্গে ১৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সেনুরান মুথুসামি। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা স্পিন অলরাউন্ডার খেলেন ৭০ রানের ইনিংস।
সাত ও আট নম্বরে মুল্ডার-মুথুসামির ব্যাট থেকেই মোট সংগ্রহের প্রায় ত্রিশ শতাংশ রান পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যার সৌজন্যে ছয়শ ছুঁইছুঁই অবস্থায় ইনিংস ঘোষণা করতে পারে তারা। আর সফরকারীদের পাঁচশর আগে থামানোর আশা জাগালেও, আরেকবার প্রতিপক্ষের লেজ মুড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।
শুধু এই ম্যাচই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নিয়মিত চিত্রই এটি। চলতি বছর আট টেস্টের পাঁচটিতে ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পরও একশর বেশি রান খরচ করেছে বাংলাদেশ। এর তিনটিতেই শেষ চার উইকেটে দুইশ বা এর বেশি রান করেছে প্রতিপক্ষ।
শেষের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত ফেরাতে না পারার ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন মুশতাকও। দ্রুতই এই সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ।
“আমাদের এদিকে (শেষের ব্যাটসম্যানদের আউট করা) মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এ নিয়ে তিন সিরিজে এমন হচ্ছে। তবে আমি মনে করি, তাইজুল ভালো বল করেছে। যদিও সে বৈচিত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারাও ভালো খেলেছে। এটা খুবই ফ্ল্যাট উইকেট। টার্নও খুব মন্থর। তারা ভালো ব্যাটিং করলেও, লোয়ার অর্ডারের বিপক্ষে বল করার ব্যাপারটায় যত দ্রুত সম্ভব উন্নতি করতে হবে।”
চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে মাত্র চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তাইজুল। তবে ১৯৬ রান খরচ করে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ৫ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৯ ওভার হাত ঘুরিয়েও কোনো সাফল্য পাননি। তাই ঘুরে-ফিরে আসছে পঞ্চম বোলার না নেওয়ার আলোচনা। এই প্রসঙ্গে বরং দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিলেন মুশতাক।
“তাইজুল দুর্দান্ত বল করেছে। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আমি খুশি। মিরাজ আরও ভালো করতে পারত, ধারাবাহিকতা ছিল না। তাইজুল খুব ভালো ছিল। তাই উইকেটও পেয়েছে এমন ফ্ল্যাট উইকেটে।”
“পঞ্চম বোলারের ব্যাপারে বলব, তাদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা খুব ভালো ব্যাট করেছে। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে, ধৈর্য দেখিয়েছে। এসব উইকেটে সুযোগ কাজে লাগাতে হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা শুরুতেই সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কাল ভালো ব্যাট করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।”