চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন নিউ জিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরি।
Published : 02 Mar 2025, 07:08 PM
দারুণ ছন্দে থাকা শুবমান গিলকে ফিরিয়ে অসামান্য এক কীর্তি গড়ার পথে যাত্রা শুরু করেন ম্যাট হেনরি। পরে আরও চারটি শিকার ধরে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করে নাম লেখান রেকর্ডের এমন এক পাতায়, যেখানে এর আগে পা পড়েনি কারো।
দুবাইয়ে রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪২ রানে পাঁচ উইকেট নেন নিউ জিল্যান্ড পেসার হেনরি। এই টুর্নামেন্টে এশিয়ার এই পরাশক্তিদের বিপক্ষে এমন স্বাদ আগে পায়নি কেউ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটি নিউ জিল্যান্ডের কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। রেকর্ডটি সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরামের। ২০০৪ সালে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
হেনরির চমৎকার বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত। শ্রেয়াস আইয়ারের ফিফটি এবং আকসার প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়ার চল্লিশোর্ধ ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৪৯ রান করে তারা।
২ ছক্কা ও ৪টি চারে ৯৮ বলে ৭৯ রান করেন শ্রেয়াস। আকসারের ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪২ রান। ৪৫ বলে ৪৫ রান করতে পান্ডিয়া মারেন ২ ছক্কা ও ৪টি চার।
বোলারদের রান আটকানোর পরীক্ষায় ফেলতে এদিন আগে ব্যাটিং পেয়ে খুশি ছিলেন রোহিত শার্মা। কিন্তু দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তিনি ও টপ অর্ডারের অন্য দুইজন।
আগের দুই ম্যাচে অপরাজিত ১০১ ও ৪৬ রান করা গিল যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হন স্রেফ ২ রান করে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ভারত ওপেনার। কয়েক ওভার পর রোহিতকে (১৫) ফিরিয়ে দেন কাইল জেমিসন।
ক্যারিয়ারের ৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমে ব্যর্থ ভিরাট কোহলিও (২ চারে ১১)। হেনরির করা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে শট খেলে পয়েন্টে ধরা পড়েন তিনি গ্লেন ফিলিপসের চোখধাঁধানো এক ক্যাচে।
৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ভারতকে টানেন শ্রেয়াস ও আকসার। ৯৮ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে ফেরান তারা। রাচিন রাভিন্দ্রার বলে কেন উইলিয়ামসনের চমৎকার ক্যাচে আকসার বিদায় নিলে ভাঙে তাদের যুগলবন্দি।
৭৫ বলে ফিফটি করা শ্রেয়াসকে আত্মবিশ্বাসীই মনে হচ্ছিল। কিন্তু উইল ও’রোকের শর্ট বল ঠিকমতো খেলতে না পেরে ধরা পড়েন তিনি শর্ট মিডউইকেটে। থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ লোকেশ রাহুলও (২৩)।
এরপর রাভিন্দ্রা জাদেজাকে নিয়ে ৪১ রানের কার্যকর জুটি গড়েন পান্ডিয়া। জাদেজাকে টিকতে দেননি হেনরি। ইনিংসের শেষ ওভারে এই পেসারের শর্ট বলে ক্যাচ তুলে দেন পান্ডিয়াও।
তখন হেনরির নামের পাশে ৪ উইকেট, বল বাকি তিনটি। তার পাঁচ উইকেট পূর্ণ হওয়া নিয়ে জাগে সংশয়। কিন্তু শেষ বলে ছক্কার চেষ্টায় মোহাম্মদ শামি ক্যাচ আউট হলে, কাঙ্ক্ষিত কীর্তিটি গড়ে ফেলেন হেনরি।
ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় পাঁচ উইকেট। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩০ রানে ৫ উইকেট হেনরির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আরেকবার পাঁচ উইকেট পান তিনি দুই বছর পর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪০ রানে।