কোভিড রোগী এক সপ্তাহে প্রায় ১৭ হাজার বেড়েছে

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে বাংলাদেশে এক সপ্তাহে কোভিড রোগী বেড়েছে প্রায় ১৭ হাজার। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2022, 01:19 PM
Updated : 17 Jan 2022, 01:19 PM

সামনে রোগী আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তা সামাল দিতে এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন।

দেশে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এ বছরের শুরু থেকে রোগী বাড়ছে। ডেল্টার ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে গত বছরের মাঝামাঝিতে যে বিপর্যয়কর অবস্থা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার শঙ্কা জাগাচ্ছে ওমিক্রন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার গত ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ২৪ হাজার ১১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায়।

এর আগের সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২৩৪ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ২৩১ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত ১০ জানুয়ারি একদিনে ২ হাজার ২৩১ জন রোগী ধরা পড়ার এক সপ্তাহ পর সোমবার একদিনে তার প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী (৬,৬৭৬) শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত এক সপ্তাহে ৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে। তাদের ৭৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ৩১ জন টিকা নেননি। যে ১১ জন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৯ জন সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন, ২ নিয়েছিলেন প্রথম ডোজ।

গত এক সপ্তাতে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন, ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ ছিল।

স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ এত দ্রুত বাড়েছে বলে মনে করেন ডা. মুশতাক হোসেন।

তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকায় ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। বড় বড় শহরের পাশপাশি সীমান্তের জেলাগুলোয় তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

“পশ্চিম বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ঢেউ আসবে। এজন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার।”

ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ওমিক্রন এখনও পর্যন্ত তেমন প্রাণঘাতী না হলেও রোগী বেশি হলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। সবকিছুতেই এর প্রভাব পড়বে।

“এটা কম সংখ্যক লোক সিভিয়ারলি আক্রান্ত হয়। কিন্তু ১০০ জনে ২ জন সিভিয়ার হলে ১০ হাজারে কতজন হচ্ছে, এটা হিসাব করতে হবে। হাসপাতালগুলোয় যদি ভিড় বাড়বে, তখন নানা সঙ্কট দেখা দেবে। সেখানে ননকোভিড এবং কোভিড যারা সিরিয়াস রোগী তারা হয়তো হাসপাতালে ঢুকতেই পারবে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।”