কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সাত দিনে বেড়েছে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার বেড়ে ১২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম রোববার স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলেন, “সামগ্রিকভাবে আমরা গত দুমাসের বেশি সময়ে দেখেছি, সংক্রমণের মাত্রা দুই শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু গত সাতদিনে তা একটু একটু করে বাড়ছে।
“আমরা দেখেছি জানুয়ারির শুরুতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। এখন তা ছয় শতাংশের কাছাকাছি (৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ)। গত কয়েকদিনে আমরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখছি।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে হিসাব দিয়েছে, তাতে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সাত দিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজার ২৩৪ জন, যা ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল তিন হাজার ২১৩। সে হিসেবে এক সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা চার হাজার ২১ বা ১২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
তার আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে কোভিড শনাক্তের মোট সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩৮১। সে হিসেবে গত রোববার পর্যন্ত এক সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা ৮৩২ বা প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল।
রোববার পর্যন্ত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭ জন। সে হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৪৭ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে।
এদিন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১ হাজার ৪৯১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর ফলে ১১ সপ্তাহ পর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে এদিন।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেদিন ১ হাজার ৫৬২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে গত একদিনে শনাক্তের হার আবার বেড়ে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময় গতবছর জুলাই-অগাস্ট সময়ে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর তা নামতে নামতে জুলাই মাসে ২ শতাংশের নিচে চলে আসে।