দেশে গত এক মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশ কমেছে।
Published : 26 Oct 2021, 01:03 AM
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসের তুলনায় এই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭২ শতাংশ। আর মৃত্যু কমেছে ৭০ শতাংশের বেশি।
অধিদপ্তর নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত এবং মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের ভিত্তিতে।
৩৫ থেকে ৩৮তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (৩০ অগাস্ট থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৫৭ হাজার ৮১৪ জনের মধ্যে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৮৯ জনের।
পরের মাসে ৩৯ থেকে ৪২তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ অক্টোবর) ১৬ হাজার ৩৪৫ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৪০৯ জনের।
ডেল্টা ভেরিয়েন্টের প্রভাবে চলতি বছরের মার্চের পর থেকেই সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করে। এ সময় আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হয়।
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে যখন একদিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় রেকর্ড হয়। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়। সে সময় ৩০তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (২৫ থেকে ৩১ জুলাই) করোনাভাইরাস ৯৬ হাজার ১৪০ জনের।
করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বাধিক ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ৫ এবং ১০ অগাস্ট। ওই সময় ৩১তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭২৬ জনের।
জুলাইয়ের শেষ এবং অগাস্টের শুরু থেকেই কমতে থাকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
সবশেষ ৪২তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে ২ হাজার ২০৪ জন শনাক্তের পাশাপাশি ৫৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪১তম সপ্তাহে যা ছিল ৩ হাজার ১২৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মারা গিয়েছিল ৮০ জন।
আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত ২৯ দশমিক ছয় শতাংশ এবং মৃত্যুর হার কমেছে ৩১ দশমিক তিন শতাংশ কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, জুলাইয়ে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে উঠে গিয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরে শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচে।
গত শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার নেমে আসে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশে। এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল দৈনিক শনাক্তের হার এর চেয়ে কম ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমলেও ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। বাংলাদেশেও সংক্রমণ যেকোনো সময় বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছেন তারা।