সতের দিনে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মৃতের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে গেল।
Published : 29 Dec 2020, 03:59 PM
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৫০৯ জন।
দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়েছিল। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
গত এক দিনে আরও ১ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ২৬১ জনে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২৪৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৩ জন হয়েছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৮ কোটি ১৩ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৭ লাখ ৭৬ হাজারের ঘরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৪টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে, অর্থাৎ মোট ১৬৭টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৫৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৫টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ আর নারী ১১ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের এবং ৩ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৫০৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৭১৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৯২ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৯৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯০৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৮১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৫ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ১১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪০২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫২৯ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।