কোভিডের নতুন ধরন: মাস্ক পরাসহ স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতির পরামর্শ

বিশ্বের কিছু দেশে জেএন.১ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2024, 06:08 AM
Updated : 3 Jan 2024, 06:08 AM

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

নতুন এই ধরনটি এখনও বাংলাদেশে শনাক্ত হয়নি। তবে ভারতসহ বিশ্বের কিছু দেশে এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন ওই ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে সবার মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

“ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে নমুনা পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসা এবং বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।”

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী কমিটির সদস্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশে কোভিডের ওই ধরনটি ছড়িয়ে না পড়লেও যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। ধরনটি বাংলাদেশে আসবে না ধরে নিয়ে বসে থাকলে হবে না।

“কারণ, এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে গেছে। যেসব দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রীরা আসছেন। তাদের কারও মধ্যে ভাইরাসের এই ধরনটি থাকলে সেটি বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আশঙ্কা যে নাই তা বলা যায় না।”

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “নতুন এই ধরন যে বিরাট সমস্যা, সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু শীত মৌসুমে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। এ কারণেই সতর্কতা নেওয়া দরকার।

“এই সিজনে যেহেতু রেসপিরেটরি ডিজিজগুলো হয়, সেজন্য এটি একটি বাড়তি ইনফেকশন হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের জন্য আতঙ্কিত হয়ে যেতে হবে, আবার আগের মত প্যানডেমিক হয়ে যাবে কি না…সেসব এখনও মনে হয় না। তবে প্রস্তুতি সব সময় রাখা উচিত।”

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ।

প্রথম শনাক্তের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।