অন্যান্য কলেজ ও স্কুলেও ক্লাস বন্ধ থাকছে।
Published : 20 Apr 2024, 07:09 PM
দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আতাউর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তাপপ্রবাহেরে কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ থাকবে।”
একই কারণে এদিন দুপুরেই দেশের সব স্কুল-কলেজ সাতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
চলতি সপ্তাহে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে। এরপর শুক্র ও শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাস শুরু হবে ২৮ এপ্রিল থেকে।
এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বেসরকারি স্কুলগুলোতে ১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। আর সরকারি স্কুল খোলার কথা ছিল রোববার থেকে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৪-২৫ এপ্রিলের দিকে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমে আসলেও তা বিরাজ করবে মাসজুড়েই।
“তখন অতিতীব্র থেকে তীব্র, তীব্র থেকে মাঝারি এমন থাকবে, তবে তাপপ্রবাহ যে চলে যাবে তা না। এমাসে বড় পরিসরে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনাও নেই। বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে- যেমন, সিলেটের দুয়েক জায়গায় সামান্য গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।”
তীব্র গরম: সাত দিনের ছুটি স্কুল-কলেজে
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আর চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এসময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চলতি মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি।
এর আগে টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। শুক্রবার সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগের দিন ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
এ পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত এল। গরম অসহনীয় হয়ে ওঠায় গত বছরের জুনেও কয়েকদিনের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করেছিল সরকার।