চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে ‘ছাত্রলীগের ভাঙচুর’, ট্রেন অবরোধ

সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নিয়োগ না দেওয়ার দাবিতে এ প্রতিবাদ বলে জানান এক ছাত্রলীগ নেতা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2023, 02:22 PM
Updated : 30 Jan 2023, 02:22 PM

‘সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িতদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর ক্যাম্পাসে ট্রেন আটকে অবরোধও করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। 

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে এ ঘটনার পর বিকালে ক্যাম্পাস রেল স্টেশনে শহরমুখী শাটল ট্রেন অবরোধে নামেন তারা। বিকাল সোয়া পাঁচটার ট্রেনের চাবি নিয়ে ট্রেন আটকে রাখেন সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।

ট্রেন অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।”

তবে রাত সাড়ে ৮টায় শাটল ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে জামাত-শিবিরের ক্যাডার এবং যারা সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের নেওয়া হবে না। তাই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘একাকার’ এর কর্মীরা উভয় ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সহকারী প্রক্টর জিয়াউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুপুরে সিন্ডিকেট সভার পর কিছু ছেলে উপাচার্য কার্যালয়ের বাইরের ফুলের টব এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তবে প্রক্টরিয়াল বডি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

“তাদের দাবি ছিল, জামাত-শিবিরের ক্যাডার এবং সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাতে তারা এই কাজ করেছে,” যোগ করেন তিনি।

তবে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার এবং যারা সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া হয় সেজন্যই ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল।”

‘জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার এবং যারা সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে’ - এর প্রমাণও আছে বলে দাবি করেন তিনি।

‘জামাত শিবিরের ক্যাডার, ফেইসবুকে সরকার বিরোধী লেখালেখি এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের’ সঙ্গে জড়িতদের নিয়োগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে অবরোধ অব্যাহত থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি।