গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পরীক্ষা শুরু ২০ মে

২০ মে মানবিক বিভাগের, ২৭ মে বিজ্ঞান বিভাগের এবং ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2023, 07:34 PM
Updated : 17 April 2023, 07:34 PM

চলতি (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছতেই থাকতে নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশ পেল এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ৩০ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

সোমবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির (২০২২-২০২৩) সদস্য সচিব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, আগামী ২০ মে মানবিক বিভাগের, ২৭ মে বিজ্ঞান বিভাগের এবং ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিগত বছরের মতো এবারও ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ই গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকছে। আবেদন যোগ্যতা সবকিছুই আগের মতো থাকছে।

Also Read: গুচ্ছ ভর্তি: জগন্নাথকে ধরে রাখতে পারবে ইউজিসি?

Also Read: সব বিশ্ববিদ্যালয় মিলে এক ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নিতে প্রজ্ঞাপন

এর আগে শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলমের স্বাক্ষরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

যেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিগত সময়ে যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত ছিল তাদের অংশগ্রহণে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হল।

কোভিড মহামারীতে ভর্তীচ্ছুদের দুর্ভোগ এড়াতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। শুরুতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ২২টি।

তবে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে গুচ্ছে আসতে রাজি করানো যায়নি।

শুরু থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবার এ প্রক্রিয়ায় না থাকার জোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের ভাষ্য, গুচ্ছ পদ্ধতিতে তারা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না।