কুমিল্লায় কর্মসূচিতে হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে ’তালা দেওয়া’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
Published : 25 Apr 2025, 12:45 AM
দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে এবার সব পরীক্ষা ও ফরম পূরণ বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
একই সঙ্গে কারিগরি সংস্কার কমিশন গঠন ও কুমিল্লায় কর্মসূচিতে হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে রাতে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তরফে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ছয় দফা পূরণে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী গত ১৬ এপ্রিল থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করে। সপ্তাহ খানেক ধরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন করলে গত মঙ্গলবার তারা আন্দোলন স্থগিত করে।
তবে পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে তাদের তরফে।
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান।
তিনি বলেন, "আমাদের মহাপরিচালক প্রথমদিকে বলছিলেন ছয় দফা দাবির যৌক্তিকগুলো পূরণ করা হবে, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি একটি সংবাদ মিডিয়াকে বলেন কিছু দাবি যৌক্তিক কিছু দাবি অযৌক্তিক, এ ধরনের বক্তব্য আমাদের ছাত্র সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই আমরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেও তা গতকালকেই (বুধবার) প্রত্যাহার করেছি।
"আর আজকে এখানে আমরা সমবেত হয়েছি একটি মাত্র কারণে, সারা বাংলাদেশে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি সেটা জানান দিতে।"
রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি ইউসূফ আলী বলেন, "পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সব পরীক্ষা ও ফরম পূরণ কার্যক্রম বর্জন করে আমাদের শিথিল কর্মসূচি চলমান আছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পলিটেকনিকগুলোর প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ থাকবে, যতদিন না কারিগরি সংস্কার কমিশন গঠন ও কুমিল্লায় হামলার বিচার করা হয়।
"ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে কঠোর কর্মসূচির দিকে ফিরে যাব।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি শাহাজাদা আহমেদ বলেন, "আমরা কোনো কোটার পক্ষে না বা আমরা কোনো কোটার জন্য আন্দোলন করছি না। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। এটা আমাদের অধিকার।
”বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারি যেসব ভাইরা আছেন তারা আমাদের দাবিকে কোটা বলে সম্বোধন করছেন। ১৯৯৪ সালের ১৯ মে একটি প্রজ্ঞাপনে চার বছর পড়ুয়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উপসহকারী প্রকৌশলীর পদটি যেটা দশম গ্রেড তা নির্ধারণ করা হয়েছিল।”
সিদ্ধান্ত পাল্টে ফের আন্দোলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
মন্ত্রণালয়ের কমিটির পর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
৪৮ ঘণ্টা সময় দিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, লং মার্চের হুঁশিয়ারি
ছয় দাবিতে জেলায় জেলায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ
পলিটেকনিকের নামফলক ঢাকা হলো লাল কাপড়ে, ছয় দাবিতে মানববন্ধন