সমাবেশে বক্তারা সীমান্তে প্রতিটি হত্যার বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
Published : 10 Sep 2024, 06:42 PM
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের’ ব্যানারে এই মিছিল হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে শুরু পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে মূল ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তারা সীমান্তে প্রতিটি হত্যার বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ সমাবেশে বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশ আর ভারতের স্বার্থ এক ছিল না। ভারতের স্বার্থ ছিল পাকিস্তানকে খণ্ড বিখণ্ড করে দেওয়া আর বাংলাদেশের স্বার্থ ছিল পাকিস্তান থেকে মুক্তি।
“ভারতের উদ্দেশ্য কখনও বাংলাদেশকে স্বাধীন করা ছিল না। যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতের অসহনীয় আচরণের সম্মুখীন হতে হয় বাংলাদেশকে। সীমান্তে হত্যা চালিয়ে তারা আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের এর জবাবদিহিতা করতে হবে।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন পিয়াস বলেন, “মোদী সরকার আমাদের বার বার মারার চেষ্টা করছে, পানি দিয়ে, পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে, সীমান্ত হত্যার মাধ্যমে। আমাদেরকে বিভিন্ন আগ্রাসী চুক্তি করতে বাধ্য করিয়েছে। আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশ - ভারতের সম্পর্ক প্রভু আর মালিকের সম্পর্ক। এর জন্য দায়ী সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে চাটুকারিতার সম্পর্ক রেখেছে। তাদের দালালির ভুক্তভোগী আমাদের জনগণ। প্রতি মাসে সীমান্তে এক-দুই জন হত্যা তারা জায়েজ করে ফেলেছে। ভারত যে নৃশংসতার পরিচয় দিচ্ছে তা সত্যি নিন্দনীয়। দ্রুত এর বিচারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ ভারতীয়দের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আমরা তাদের থেকে ন্যায্য পররাষ্ট্রনীতি চাই।”
আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, “এ বছর আরও দুইজনকে বিএসএফ হত্যা করল। আমাদের এই পররাষ্ট্রনীতির কিছুটা পরিবর্তন দরকার। আমরা প্রতিবেশীকে হটাতে পারব না কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি হত্যার খেসারত দিতে হবে। ভারতের সেভেন সিস্টার্স আর আস্ত থাকবে না।”