১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর জগন্নাথ হলের একটি ভবনের ছাদ ধসে ছাত্র, কর্মচারী, অতিথিসহ ৩৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
Published : 15 Oct 2024, 02:55 PM
জগন্নাথ হলের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হল ‘শোক দিবস’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মঙ্গলবার সকালে শোকযাত্রা করে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভি কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল তাতে অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর জগন্নাথ হলের একটি ভবনের ছাদ ধসে ছাত্র, কর্মচারী, অতিথিসহ ৩৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকে বছরের এই দিনটি বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। শোকাবহ ওই ঘটনার স্মরণেই জগন্নাথ হলে নির্মিত হয়েছে ‘অক্টোবর স্মৃতি ভবন’।
আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, "১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বর্তমান প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।"
তিনি বলেন, "জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার আরেকটি শিক্ষা হচ্ছে একতা। জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার পরে ধর্ম, বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সারা দেশের মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। সেসময় মানুষ এক পরিবারে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতেও তিনি সকল মানুষকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।"
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।
এছাড়া নিহতদের তৈলচিত্র এবং বিভিন্ন সমাগ্রী প্রদর্শন করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা হয়।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হবে।