আসন সংখ্যা অনুযায়ী, তাদের মধ্যে মোট ৩ হাজার ৬২৯ জন গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
Published : 12 May 2024, 03:21 PM
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এই ইউনিটের পরীক্ষায় সব মিলিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ হাজার ২৪৮ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
অর্থাৎ এই শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। আসন সংখ্যা অনুযায়ী, তাদের মধ্যে মোট ৩ হাজার ৬২৯ জন গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৩০ এর কম পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ১৩৯১৩ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯.৫৬ শতাংশ।
রোববার সকালে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। পরে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার আমরা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করতে পেরেছি। পূর্বের সকল সংকীর্ণতা কাটিয়ে এবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়া খুব দ্রুতই শুরু করা হবে।”
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সাব টেকনিক্যাল কমিটির তৈরিকৃত ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তাদের মধ্যে ৩৫ হাজার ১৬৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।
পরীক্ষা যারা দিয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের বেশি পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন কারণে ৭ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে।
‘সি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন মো. রাশেদ ফরাজি। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা রাশেদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন।
এবার ৮৫ নম্বরের বেশি পেয়েছেন ২ জন, ৮০ নম্বরের বেশি ২৯ জন, ৭৫ নম্বরের বেশি ১৬৭ জন, ৭০ নম্বরের বেশি ৫৮৬ জন, ৬৫ নম্বরের বেশি ১৪৭৭ জন, ৬০ নম্বরের বেশি ২৯৩২ জন, ৫৫ নম্বরের বেশি ৫০০৩ জন, ৫০ নম্বরের বেশি ৭৬২৭ জন, ৪৫ নম্বরের বেশি ১০৬৯৩ জন, ৪০ নম্বরের বেশি ১৪০১৩ জন, ৩৫ নম্বরের বেশি ১৭৪৯৩ জন এবং ৩০ নম্বরের বেশি ২১২৪৮ জন।
গত ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। ইতোমধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে।
‘এ’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ হাজার ৭৬০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
‘বি’ ইউনিটভুক্ত মানবিক বিভাগ থেকে ৩১ হাজার ৮১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। যা পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪০২টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইট এবং জিএসটিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।