দাবি আদায় না পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আন্দোলনকারীদের।
Published : 27 Apr 2025, 09:15 PM
সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি সংস্কারে চার শিক্ষার্থীর অনশনের মধ্যে শাহবাগ অবরোধ করেছে একদল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী।
রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দিকে তারা আট দফা দাবি আদায়ের পাশাপাশি ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে রাজধানীর ব্যস্ততম এ সড়কে অবস্থান নেন।
দাবি আদায় না পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় এ মোড়ের চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারীরা 'পিএসসির কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও', 'সংস্কার সংস্কার, পিএসসি সংস্কার', 'ইন্টেরিম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ'সহ নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীদের হাতে 'আর নয় চার বছরে, এবার হোক এক বছরে', 'জুলাইয়ের সরকার, ছাত্র কেন রাস্তায়', 'আবেদ গংয়ের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা ধরনের ফেস্টুন দেখা যায়।
পিএসসির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আমরা পিএসসির সংস্কারের জন্য আট দফা দাবি জানিয়েছি। তার মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত চলবে শাহবাগ ব্লকেড চলবে।“
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে চারজন চাকরি প্রার্থী পিএসসি সংস্কার এবং বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের আট দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন।
তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আরও অনেক চাকরিপ্রার্থী কর্মসূচিতে যোগ দেন। এসব দাবি আদায়ে তারা এর আগেও একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের নাইমা সেলিম বর্ণা বলেন, পিএসসির সংস্কার আসলে বিশাল একটি সংস্কার। ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের কথা পুরো দেশবাসী জানলেও তার কার্যত কোনো সমাধান সরকার করতে পারেনি, যা সরকারের দুর্বলতা। ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে যাদের দ্বারা প্রশ্নফাঁস হয়েছে, তাদের এখনো বিচার না হওয়ার মানে সেই গোষ্ঠীটি এখনো শক্তিশালী হয়েছে।
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ”আমি ৪৬তম বিসিএসে যার পাশে বসে লিখিত পরীক্ষা দেব, কীভাবে জানব যে সে প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি মনে করি, প্রশাসন ৪৪তম ও ৪৫তম বিসিএসের সুরাহা না করে ৪৬তম বিসিএসের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে তাড়াহুড়া করছে তা মূলত বাড়াবাড়ি।”
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন নতুন করে করা; আগে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করে তারপর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া; কমিশনে বসিয়ে খাতা দেখানোর ব্যবস্থা করা; অতি দ্রুত কমিশনের বিজ্ঞ সদস্যদের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনে উন্নীত করা; ভাইভা শেষ হওয়ার পর এবং রেজাল্টের আগে ক্যাডার চয়েজ প্রত্যাহারের সুযোগ প্রদান; ৪৫তম থেকে ৪৭তম বিসিএসের ক্ষেত্রে ভাইভার পূর্বে পুনরায় ক্যাডার চয়েজ পূরণের সুযোগ প্রদান; প্রিলিমিনারির কাট অব মার্ক এবং প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার মার্কস প্রকাশ করা এবং লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম দুই মাস আগে রুটিন ঘোষণা করা; সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও যথাসম্ভব স্বচ্ছকরণ, ভেরিফিকেশনের হয়রানি লাঘবে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষকরণ এবং ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন ক্যাডার বিধি’২৩ সংস্কার।
পিএসসির সংস্কারসহ তিন দাবিতে অনশনে ৩ শিক্ষার্থী
বিসিএস জট কমানো, ক্যাডার বাছাই, এক গুচ্ছ পরিবর্তনের পথে পিএসসি