‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ জরুরি: নওফেল

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যার কারণে নারীদের একটি অংশ কর্মক্ষেত্রের বাহিরে থেকে যায়, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 03:54 PM
Updated : 31 May 2023, 03:54 PM

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণে জোর দিচ্ছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ‘রক্ষণশীলতা কাটিয়ে’ নারীদের জন্য সহযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘এমপাওয়ারিং ফিউচার: ইয়ুথ অ্যাজ দ্য আর্টিটেক্ট অব স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

নওফেল বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যার কারণে নারীদের একটি অংশ কর্মক্ষেত্রের বাইরে থেকে যায়, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বাধা তৈরি করছে।

“রক্ষণশীলতা থেকে উত্তরণের সময়ে আমাদের সহনশীল হতে হবে। কর্মক্ষেত্রে এই পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে। এই পরিবর্তনটা অবশ্যই দ্রুত গতিতে করতে হবে। কেননা ২০৩০ সালের পর থেকে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের (জনমিতিক লভ্যাংশ) সুবিধা কমে যাবে।”

জনমিতিক লভ্যাংশ হল একটি দেশের কর্মক্ষম জনশক্তির পরিমাণ সামর্থ্যহীন মানুষের থেকে বেশি থাকা।

এমন পরিস্থিতিতে ধর্মীয় অনুশাসনে থেকেও প্রান্তিক নারীরা যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে, তাদের স্বাগত জানানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন নওফেল।

নওফেল বলেন, “বঙ্গবন্ধু পঞ্চাশের দশকেই ভেবেছিলেন, পুরুষেরা যা করতে পারে, নারীরাও তা করতে পারে। এই অগ্রসরমান চিন্তা যদি এই সময়ের তরুণেরা ধারণ করতে পারে, সেটাই হবে স্মার্টনেস। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ জরুরি।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিসিডিজিএস) আয়োজনে এই সেমিনার হয়।

এতে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম  মাকসুদ কামাল বলেন, “গ্লোবালাইজেশনের যুগে টিকে থাকতে হলে ‘স্মার্ট’ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। জনমিতিক লভ্যাংশের সঙ্গে সঙ্গে যদি অর্থনৈতিক লভ্যাংশ না আসে, আমরা পিছিয়ে যাব।”

বিসিডিজিএসের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে সরকার নিরলস কাজ করছে। যার প্রধান কাণ্ডারি তরুণরা।

“তরুণদের আগামী সময়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, জ্ঞান-মেধা-সততা ও দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা এমন আত্মবিশ্বাসী তরুণ সমাজ চাই, যারা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ন্যায় ও অধিকারের বিষয়ে আপসহীন হবে।”

সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার মাহফুজা লিজা, কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল ও টেন মিনিট স্কুলের কনসালটেন্ট সাকিব রশিদ আলোচনা করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম নওশীন ফারিহা ও রুবায়েত হাসান শাওন।

সেমিনারে সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান উপস্থিত ছিলেন।