এসব কারখানার কর্মীদের কর্মক্ষমতা বেড়েছে ৮৪ শতাংশ, আর কারখানার মুনাফা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
Published : 14 Oct 2023, 04:35 PM
দেশের পোশাকখাত কারখানাকে পরিবেশবান্ধব করতে মনোযোগী হওয়ায় মুনাফা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমেছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিপিডির এ গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব পোশাক কারখানাকে পরিবেশবান্ধব করা হয়েছে, সেসব কারখানার কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমেছে ৯৭ শতাংশ; আর চিকিৎসা খরচ কমেছে ৯০ শতাংশ।
অন্যদিকে এসব কারখানার কর্মীদের কর্মক্ষমতা বেড়েছে ৮৪ শতাংশ, আর কারখানার মুনাফা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার গুলশানের একটি হোটেলে ‘সিকিউরিং গ্রিন ট্রানজিশন অব দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড রেডিমেইড গার্মেন্টস সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল। ৪০৩টি কারখানা থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত এবং ৪ হাজার ৫৪১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের রপ্তানিতে পোশাক খাতের অবদান ৮৫ শতাংশ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা পরিবেশবান্ধব কারখানা করার দিকে মনোযোগী হয়েছি।
“…রপ্তানিখাতকে সহায়তা দেওয়ার জন্যই আমাদেরকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়ন করতে হয়েছে। এটা তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রণোদনা বলে আমি মনে করি।”
অধ্যাপক শামসুল বলেন, “এনফোর্সমেন্ট ও রেগুলেশন ঠিক মত হলে আমাদের বাজার অর্থনীতি ঠিক মত কাজ করে। বাজারকে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং সহযোগিতা করাই সরকারের দায়িত্ব। এতে পরিবেশের উপর যেন ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে- সেটা দেখা সরকারের দায়িত্ব।”
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লিড সার্টিফিকেশন আছে ২০০ সবুজ কারখানার। আরও চার থেকে পাঁচশ কারখানা পাইপলাইনে আছে।
বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, “পোশাক খাতের সবুজ কারখানা এখন গ্লোবাল মডেল হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এখন রপ্তানি খাতের অন্যান্য দূষণকারী শিল্পের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার।”
অন্যদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: