সব বাজারে ঢোকেনি ভারতীয় পেঁয়াজ, কেজিতে কমেছে ২০-৩০ টাকা

সবজির বাড়তি দাম কমেছে, তবে দাম বেশি মাছের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2023, 01:14 PM
Updated : 9 June 2023, 01:14 PM

পেঁয়াজের দাম একশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ভারত থেকে আমদানির ঘোষণায় তেতে ওঠা পড়তি বাজারে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম এখনও আগের চেয়ে বেশি। ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

ঢাকার বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সবখানে ভারতীয় পেঁয়াজ এখনও এসে পৌঁছেনি; যা বাজারভেদে খুচরায় কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরায় দেশের বাজারে যে দরে বিক্রি হচ্ছে সেটির সঙ্গে আমদানি মূল্যের ফারাক অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

শুক্রবার ঢাকার বাজারে খুচরায় বিক্রি হওয়া পণ্যের যে মূল্যতালিকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দিয়েছে, সেখানে কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দর দেওয়া হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

অপরদিকে এদিন ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। খুচরায় কারওয়ান বাজারে দর ও টিসিবির দর একই।

বরিশালের বাসিন্দা শেফা নূর ইবাদী ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছেন ৬০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের জীবনধারণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক ও আকস্মিকভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেমন দুই দিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ৯৫ হল, যা জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আজকে যদিও পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তবুও আমার মনে হচ্ছে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, কারণ ভারত থেকে লাখ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।”

মিরপুরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ইন্ডিয়ানটা ৬০ টাকা। দাম খুব তো আর কমে আসেনি। পেঁয়াজ লাগে প্রতিদিন। এর দাম আরও কমা উচিত।”

সবজির দাম কম, বাড়তি মাছের

ঊর্ধ্বমুখী কাঁচাবাজারে কিছুটা নেমে এসেছে সবজির দাম। তবে আলুর দাম কমেনি, যা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে মিলছে ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, মূলা, মিষ্টি কুমড়া। চাল কুমড়া ও জালি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে এই দামে। মান ও বাজারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা খরচে মিলছে সজনে, কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, পটল, করলা, শসা, বেগুন, পটল, পেঁপে, গাজর টমেটো, কাঁকরোল। এসব সবজির দাম সপ্তাহ দুয়েক ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দরে বিক্রি হয়েছে।

সবজির দর নামলেও উঠেছে মাছের। নিম্ন আয়ের মানুষের কেনার তালিকায় থাকা তেলাপিয়া, পাঙাসের দামও বেশি।

মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ও পাঙাস ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা লোড শেডিংয়ের দোহাই টেনে বলছেন, টানা বিদ্যুৎ না থাকায় দাম বেড়েছে বরফের। এতে মাছ সংরক্ষণের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে দামে।

শুক্রবার ঢাকার বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০-২২০ টাকায় এবং সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা।

অপরদিকে দাম কমেনি ডিমের; খুচরায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত চড়েছে এক ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিমের।

Also Read: পেঁয়াজ ছাড়া যা দিয়ে চলে মণিপুরী রান্না, কী এই ‘ন্যান্নাম’?

Also Read: বন্দরে বন্দরে ঢুকছে পেঁয়াজ, দর নেমেছে পাইকারিতে

Also Read: দুই দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

Also Read: দর ১০০ টাকা ছোঁয়ার পর পেঁয়াজ আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সায়

Also Read: বেলায় বেলায় বেড়ে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে পেঁয়াজ; আমদানির সিদ্ধান্ত কাজে দেবে?