নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মাঠে থাকবে।
Published : 28 Jan 2024, 04:11 PM
ঊর্ধ্বগামী মূল্যস্ফীতির মধ্যে বাজারের অস্থিরতা কমাতে প্রথমবার মত ডিম, আলু ও পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিল সরকার।
এখন থেকে প্রতিটি ডিম সর্বোচ্চ ১২ টাকা দরে ভোক্তার কাছে বিক্রি করা যবে। আর প্রতিকেজি আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৬ টাকা এবং প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় এই তিন পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে নতুন পণ্য মূল্যের সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মাঠে থাকবে। এছাড়া কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করবেন। আইন অনুযায়ী দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশী পিঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
এছাড়া, প্যাকেটজাত সয়াবিন ও খোলা সোয়াবিনের তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ ও ১৪৯ টাকা এবং পামওয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
"উৎপাদক, পাইকারী এবং খুচরা পর্যায়ের খরচ ও মুনাফা বিবেচনায় নিয়েই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ বেশি মুনাফা লাভের জন্য অবৈধভাবে পণ্য মজুদ রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে," বলেন বাণিজ্য মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ডিমের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং বাজারে যদি সেদামে বিক্রি না হয় তাহলে আমরা ডিম আমদানির অনুমতি দেব। প্রথমে সীমিত পরিমাণে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে।”
ডিম আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু আবেদন এসেছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাল থেকে অভিযান শুরু করবে। এছাড়া, সব জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য। দেশের সর্বত্র মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)