“একটি ফ্রিজ কিনে এত টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায় কল্পনা করিনি কখনো”, বলেন ঝর্ণা বেগম।
Published : 31 Mar 2024, 09:25 PM
৩৪ হাজার ২৯০ টাকায় ফ্রিজ কিনে ফেনীর ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার গৃহিণী ঝর্ণা বেগম ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশব্যাপী মার্সেল ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় এই পুরস্কার পেলেন তিনি।
এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দেশের যে কোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। আরো আছে লাখ-লাখ টাকার উপহার।
রোববার মার্সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে ঝর্ণা বেগমের এই পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, শনিবার সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট এলাকায় শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান এবং মামনুন হাসান ইমন।
দাগনভূঁঞার প্রতাপপুরে বসবাস ঝর্ণার। এক ছেলে এবং এক মেয়ের মা তিনি। গত ২৫ মার্চ সেবারহাটে জয়নাল কোম্পানি মার্কেটে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ঢাকা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ২৯০ টাকায় ২১৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি।
কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে মার্সেল থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ আসে।
চেক গ্রহণ করে ঝর্ণা বলেন, “একটি ফ্রিজ কিনে এত টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায় কল্পনা করিনি কখনো। প্রথম ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ দেখে বিশ্বাস হয়নি। মার্সেল হেড অফিস থেকে ফোন করে জানানোর পর বিশ্বাস হয়।”
মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, “দেশের সহজ সরল মানুষ বিদেশি পণ্য ভেবে নন-ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কিনে প্রতারিত হন। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, আবার দেশের টাকা বিদেশে চলে যায়।
“দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই সবার উচিত দেশের পণ্য কেনা। এতে সমৃদ্ধশালী হবে দেশ ও আমাদের অর্থনীতি।”
অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, “ক্রেতাদের আস্থায় দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে মার্সেল। মানুষের জন্য কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করে চলেছে কোম্পানিটি।”
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগ্যান, সেবারহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান,উপনির্বাহী পরিচালক নুরুল ইসলাম রুবেল,বিভাগীয় বিপণন ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক এএনএম মহিব্বুল্লাহ এবং ঢাকা ইলেকটনিক্সের স্বত্বাধিকারী রাজীব চন্দ্র দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।