২০১১ সালে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ একটি গোল্ড ও একটি সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছিল।
Published : 27 Dec 2022, 10:58 PM
পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থাপনার জন্য চলতি বছর বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী ৩০টি কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের সনদ অর্জন করেছে, যা একক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর মধ্য দিয়ে দেশের মোট ১৮৩টি কারখানা প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে এ ধরনের সনদ অর্জন করলো বলে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর তরফে জানানো হয়েছে।
স্বীকৃতি পাওয়া সব কারখানাই পোশাক সংশ্লিষ্ট, তৈরি পোশাকই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানতম রপ্তানি পণ্য।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চলতি মাসে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের মাওনার জিন্নাত নিটওয়্যার্স ও জিন্নাত নিটওয়ার্স প্রিন্টিং বিল্ডিং সনদ অর্জন করেছে। এছাড়া ঢাকার সাভারে অবস্থিত সুইসটেক্স ভিলেজ নামের অপর একটি কারখানা পেয়েছে গোল্ড সনদ।
এ বছর প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে মোট ১৫টি কারখানা লিড সনদ পেয়েছে, যা একক বছরে সর্বোচ্চ। এক বছরে সবমিলিয়ে ৩০টি কারখানা পেয়েছে লিড সনদ।
এ ধরনের সনদে ক্রেতাদের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনই বাংলাদেশের প্রতি তাদের আগ্রহও বাড়বে বলে মনে করেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তার ভাষায়, “পরিবেশকে গুরুত্ব দেওয়া সাসটেইনেবল উদ্যোগগুলো ক্রেতাদের বোঝানোর জন্য ভবিষ্যতে লিড সনদ ও গ্রিন কারাখানার বিকল্প নেই। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে কারখানার পরিচালন ব্যয়ও কিছুটা কমিয়ে দেবে।
“এসব কারখানায় জ্বালানি খরচ কমাবে। ক্রেতাদের দায়িত্ব হচ্ছে এ ধরনের কারখানা থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে যথাযথ মূল্যায়ন করা।”
পরিবেশবান্ধব কারখানার মান বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও সার্টিফায়েড ক্যাটাগরিতে সনদ দিয়ে থাকে।
২০১১ সালে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ একটি গোল্ড ও একটি সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছিল।
কোভিড মহামারী শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২৮টি লিড সনদ অর্জন করেছিল বাংলাদেশি পোশাক কারখানা। পরের বছর ২৪টি এবং ২০২১ সালে ২৩টি লিড সনদ পায় দেশি পোশাক কারখানা।