স্কয়ার গ্রুপ বলছে, স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী।
Published : 14 Nov 2022, 06:57 PM
পাবনার হেমায়েতপুরের অ্যাস্ট্রাস খামার বাড়িতে স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর পাশে সমাহিত হলেন তার স্ত্রী অনিতা চৌধুরী।
সোমবার পাবনার আতাইকুলা চার্চে প্রার্থনা শেষে তাকে সেখানে সমাহিত করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্কয়ার।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের রমনা ক্যাথিড্রালে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াপূর্ব প্রার্থনা ও আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়।
৯০ বছর বয়সী অনিতা চৌধুরী বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্প্রতি তাকে স্কয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুরে সেখানেই মারা যান তিনি। সন্তান ও নাতি-নাতনিরা এ সময় তার কাছেই ছিলেন।
স্কয়ার গ্রুপের সবার কাছে অনিতা চৌধুরী পরিচিত ছিলেন ‘স্কয়ার মাতা’ হিসেবে। ১৯৩২ সালের ৫ অগাস্ট তার জন্ম; স্যামসন এইচ চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় ১৯৪৭ সালের ৬ অগাস্ট।
অনিতা চৌধুরী স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, স্কয়ার ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাত্র, স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী ও স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর মা।
তার স্বামী স্যামসন এইচ চৌধুরী ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সে মারা যান।
পাবনার এক গ্রামীণ ওষুধের দোকান থেকে ব্যবসা শুরু করা স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯৫৮ তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
তার অক্লান্ত চেষ্টায় ফার্মাসিউটিক্যালের পাশাপাশি প্রসাধনসামগ্রী, টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও মিডিয়াতেও বিস্তৃত হয় স্কয়ারের ব্যবসা।
এক সাক্ষাতকারে স্যামসন এইচ চৌধুরী বলেছিলেন, “এটি চার বন্ধুর প্রতিষ্ঠান। এর লোগোও তাই বর্গাকৃতির।”
অনিতা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্কয়ার প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী অনিতা চৌধুরীর মৃত্যু
স্কয়ার গ্রুপ বলছে, স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী।
অনিতা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ দেশের বিশিষ্টজনেরা শোক প্রকাশ করেছেন।