দাম বেঁধেও দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় আমদানির পথেই হাঁটছে সরকার।
Published : 20 Jan 2024, 03:28 PM
দর নিয়ন্ত্রণে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার তিন দিন পর নতুন এই সিদ্ধান্ত এল।
দাম বেঁধেও দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় আমদানির পথেই হাঁটছে সরকার।
বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী।
গত সোমবার চারটি প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমতি পায়। সেই ডিম দেশে পৌঁছার আগেই এবার ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে এই অনুমতি।
এগুলো হচ্ছে: চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, এম/এস রিপা এন্টারপ্রাইজ, এসএম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।
সরকারি হিসেবে দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস। এই হিসেবে আড়াই দিনের চাহিদার সমান ডিম আমদানি হবে।
কোন দেশ থেকে ডিম আনতে হবে, তা বলা হয়নি। তবে দেশটি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত হতে হবে এবং প্রতিটি চালানের যে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত, সেই সনদ জমা দিতে হবে।
এক সময় ভারত থেকে আমদানি করা ডিমে দেশের চাহিদার একটি অংশ পূরণ হলেও দেশীয় পোলট্রি শিল্পের সংরক্ষণে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়।
তবে গত প্রায় দেড় বছর ধরে স্বস্তায় প্রোটিনের উৎস খাবারটির দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় পোলট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আপত্তির মধ্যেও সরকার সীমিত পরিসরে আমদানির পথ খুলে দিল।
দেড় বছর আগেও প্রতি ডজন ডিম ৮০ থেকে ৯০ টাকায় পাওয়া যেত। গত বছর একবার এবং চলতি বছর দ্বিতীয়বার ডিমের দাম লাফ দিয়ে ডজন ছাড়িয়ে যায় ১৬০ টাকা, কোথাও কোথাও ১৭০ বা ১৮০ টাকা ডজনেও বিক্রি হয়েছে। অথচ ভারতে দর একশ টাকার অনেক কম।
ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে গত সপ্তাহে সরকার যে তিনটি পণ্যের দাম ঠিক করে দেয়, তার মধ্যে ডিমও আছে।
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি ১২ টাকা করে এক ডজন ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হওয়ার কথা ১৪৪ টাকা। কিন্তু কিছু সুপার শপ ছাড়া এই দরে ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও দর ১৫০, কোথাও ১৫৫, কোথাও ১৬০ টাকা।
অবশ্য আলু ও পেঁয়াজও সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে না। এর মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি থাকলেও আলু আমদানিতে তা নেই।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)