“আমি মনে করি, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে, সহিংসতা করবে, তারা ভিসা নীতির মধ্যে পড়বে,” বলেন তিনি।
Published : 17 Jan 2024, 05:53 PM
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রয়োগে দুই দেশের বাণিজ্যে ‘কোনো প্রভাব পড়বে না’ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কোনো সম্পর্ক নাই। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। আমি প্রতিযোগিতা করে সেই বাজার দখল করেছি। ইউরোপের মত আমেরিকা তাদের বাজারে আমাকে বিশেষ কোনো এক্সেস দেয় নাই। আমি সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট ডিউটি দিয়ে সেই মার্কেট পাই।
“আমার জন্য যে এটা সবচেয়ে বড় বাজার, সেটা আমাদের ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস কোম্পানি, শ্রমিক যারা আছেন তাদের ক্রেডিট। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করেই সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট ডিউটি ফি দিয়েই পণ্য দিচ্ছি। এক্ষেত্রে তো আমেরিকা আমাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যিক কোনো প্রভাব পড়বে না।”
বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে যারা বাধা হবে, তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রেখে নতুন ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সালমান রহমান বলেন, “আমি মনে করি, এটা খুব ভালো। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের জন্যই আমেরিকার ভিসা নীতি। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় বলেছি, গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে তার বক্তৃতায় এটা বলেছেন। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন কথা বলেছে। আমরাও তা চাই।
“আর বিরোধী দল বলছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না। আমি মনে করি, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে, সহিংসতা করবে, তারা ভিসা নীতির মধ্যে পড়বে। ডোনাল্ড লু (যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি) যে ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেখানে তিনি বলেছেন, বিরোধী দল, ক্ষমতাসীন দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধেই (ব্যবস্থা) নেবে।”
অপরদিকে দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপী ইউনিয়ন (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠালেও নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ‘প্রশ্ন উঠবে না’ বলেও মনে করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মোটেও না। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে- আপনাদের এমন বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না, সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমার ইলেকশন আমি সংবিধান অনুযায়ী করব।
“আমরা যে কথাটা বার বার বলেছি যে, আমাদের ইলেকশন কমিশন শতভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। এর আগে এই কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা সরিয়ে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন রূপ দিয়েছেন। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স করেছি।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)