প্রস্তাবিত বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসিতে বিনিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেবে ব্র্যাক ব্যাংক।
Published : 31 Jul 2023, 04:32 PM
সাবসিডিয়ারি এমএফস প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ এর প্রস্তাবিত ‘বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’তে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগ বা ব্যবসায় নতুন কিছু সংযোজিত হলে বিনিয়োগকারীদের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) জানাতে হয়।
সোমবার ব্র্যাক ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেলে ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগে যাবে ব্র্যাক ব্যাংক।
সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্টান বিকাশের মালিকানার ৫১ শতাংশ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের। এমএফএস প্রতিষ্টান বিকাশের মালিকানায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ খোলার অনুমতি দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে সার্কুলার দিয়েছে। আগামী ১ অগাস্ট আবেদনের শেষ তারিখ থাকলেও ৩০ জুলাই পর্যন্ত সাড়া না মেলায় ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবপোর্টালে আবেদন না করলেও যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ‘বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের ছাড়পত্র নিয়েছে ‘বিকাশ’। এ নামেই তারা পেতে চাচ্ছে ডিজিটাল ব্যাংক।
এর আগে রোববার ‘বিকাশের’ করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
“আমরা ডিজিটাল ব্যাংক পেতে আগ্রহী। এখনো আবেদন করা সম্ভব হয়নি। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি,” বলেছিলেন তিনি।
ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, অ্যান্ট গ্রুপ এবং সফটব্যাংক ভিশন ফান্ডের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ ২০১১ সাল থেকে ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে।
উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ডিজিটাল ব্যাংকের। প্রচলিত ব্যাংকের যেখানে পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা। উদ্যোক্তা হতে চাইলে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ধারণ করতে হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকের ব্যবসা শুরুর পর ৫ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে। তবে এখানে শর্ত হচ্ছে, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ উদ্যোক্তাদের সরবরাহ করা প্রাথমিক মূলধনের কম হতে পারবে না।
অর্থাৎ আইপিওর মাধ্যমে কমপক্ষে ১২৫ কোটি টাকা বা ওই সময়ে উদ্যোক্তাদের সরবরাহকৃত অর্থের সমপরিমাণ মূলধন সংগ্রহ করতে শেয়ার ছাড়তে হবে পুঁজিবাজারে।
উদ্যোক্তাদের শেয়ার ৩ বছরের আগে হস্তান্তরের অনুমোদন দিতে পারবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিজিটাল ব্যাংকের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নির্দেশনার অনুসরণ থাকলেও ব্যাংকিং সংক্রান্ত প্রচলতি ব্যাংকের পরিপালনীয় নীতিমালার পুরোটাই মানতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রচলিত ব্যাংকের মতোই ব্যাসেল-৩ অনুসরণ, সিএসআর নীতি মানা, ঋণ আমানত অনুপাত, খেলাপী ঋণের শ্রেণিকরণ, বিধিবদ্ধ জমা, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ, ক্রেডিট রিস্কসহ যাবতীয় নিদের্শনা মেনে চলতে হবে।
এছাড়াও সময়ে সময়ে যেসব নির্দেশনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করবে তাও মানতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, নীতিমালায় উল্লেখ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমতি হয়নি এমন কোনো কার্যক্রমে নিয়োজিত হতে পারবে না ডিজটাল ব্যাংক।
ডিজিটাল ব্যাংক: আবেদনের সময় বাড়ল, জমা পড়েনি একটিও
ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে যা করতে চায় নগদ
ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে যা করতে চায় নগদ
ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার ইচ্ছা নগদ এমডির
আবেদন পড়েনি ডিজিটাল ব্যাংকের; প্রস্তুতিতে নগদ ও বিকাশ
ডিজিটাল ব্যাংকের পথ সুগম হল, মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা
ধারের টাকায় ডিজিটাল ব্যাংকের মালিক হওয়া যাবে না
ডিজিটাল ব্যাংক পেলে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে জামানতহীন ঋণ দেব: নগদ এমডি