কয়েকটি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই আরটিজিএস-এর মাধ্যমে ভিন্ন ব্যাংকের চেক নগদায়নসহ অন্যান্য লেনদেন করতে পারছেন তারা।
Published : 01 Aug 2023, 02:52 PM
কারিগরি ত্রুটির কারণে বাংলাদশে রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেমস (আরটিজিএস) সার্ভার একদিন বন্ধ থাকার পর আন্তঃব্যাংক লেনদেন ফের স্বাভাবিক হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক সারোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ব্যাংক খোলার সময় থেকেই স্বাভাবিক লেনদেন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
“আরটিজিএস সার্ভারে যে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল, কাল রাতেই তার সমাধান করতে পেরেছেন আমাদের প্রযুক্তিবিদরা।”
কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই আরটিজিএস-এর মাধ্যমে ভিন্ন ব্যাংকের চেক নগদায়নসহ অন্যান্য লেনদেন করতে পারছেন তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল অফিস শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, সকাল থেকে তারা স্বাভাবিকভাবে আন্তঃব্যাংক লেনদেন করতে পারছেন।
পূবালী ব্যাংক, ইবিএল ও এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় খোঁজ নিয়েও আরটিজিএস প্ল্যাটফর্মে স্বাভাবিক লেনদেনের খবর মিলেছে।
আরটিজিএস সার্ভারে ত্রুটি; আন্তঃব্যাংক লেনদেন বন্ধ
সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সোমবার আরটিজিএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ব্যাংকাররা। ফলে কোনো আন্তঃব্যাংক লেনদেনের নিষ্পত্তি করা যাচ্ছিল না।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা না গেলে তারা যেন মঙ্গলবার ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে’ আন্তঃব্যাংকে লেনদেন নিষ্পত্তির প্রস্ততি নিয়ে রাখে। তবে ত্রুটি সারানো সম্ভব হওয়ায় তার আর প্রয়োজন হয়নি।
এর আগে গত এপ্রিলে কারিগরি ত্রুটির কারণে ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ (এনপিএসবি) এর সার্ভার।
আরিটিজিএস মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্যে লেনদেন করতে পারেন। এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমদানি পণ্যর শুল্ক পরিশোধও করা যায়।
কোনো ঊর্ধ্বসীমা না থাকলেও সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা লেনদেন করা যায় আরটিজিএস ব্যবহার করে। প্রতিটি লেনদেনে ব্যাংকগুলো একশত টাকা সেবা ফি কেটে নেয় এর বিপরীতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আট হাজার শাখা আরটিজিএসে সংযুক্ত রয়েছে। গত জুন মাসে আরটিজিএসের মাধ্যমে আট লাখ ২৭ হাজার ৮২৫টি লেনদেনে ৫৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা হাতবদল হয়। ওই মাসে ৫৭ হাজার ৩৯৯টি আদেশে লেনদেন হয় ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।