মন্ত্রী বলেন, নিউ ইয়র্কে বিমানের স্লট যেন তাড়াতাড়ি ফিরে পাওয়া যায়, সেই বিষয়েও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
Published : 06 Feb 2024, 06:31 PM
বোয়িং বা এয়ারবাস, যে কোম্পানি থেকে কিনলে দেশের জন্য সুবিধা হবে সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কেনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী এ কথা জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ফারুক খান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই চায় বাংলাদেশ বিমানে আরো বোয়িং উড়োজাহাজ যুক্ত হোক। তবে আমরা আর্থিক ও কারিগরি দিকসহ সবকিছু বিবেচনা করে যেটি ভালো হবে সেই সিদ্ধান্ত নিব।
“বোয়িং বা এয়ারবাস যে কোম্পানি থেকে কিনলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হবে আমরা সেখান থেকেই কিনব।”
পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে আমাদের এই দুইটি খাতে আরও সাহায্য করতে পারে তা আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি।”
মন্ত্রী বলেন, “পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে আমাদের অংশীদারত্ব যাতে আরও জোরদার হয়, বিশেষ করে নিউ ইয়র্কে আমাদের বিমানের স্লট যেন তাড়াতাড়ি ফিরে পেতে পারি সেই বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা হয়েছে।”
নিউ ইয়র্কের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এফএএ অডিট কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে এমন প্রশ্নে ফারুক খান বলেন, “বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষে আইকাও এর একটি অডিট টিম কাজ করছে। তারা যাওয়ার পরে আমরা একটা সুবিধাজনক সময়ে এফএএকে অডিটের জন্য আমন্ত্রণ জানাব। তবে সেটা এ বছরই হবে।”
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। আমরা তা দ্রুত শেষ করতে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও বাংলাদেশ বিমানকে সহায়তা করব।”
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আমরা চাই বোয়িং যেন এই উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়াটি যেন একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।”
পিটার হাসের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করে উল্লেখ করে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসময় ফারুক খান বলেন, “বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।”
“অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে পর্যটনের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।”