ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহ রাশিয়ার

“বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা এই দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় করবে,” বলেন রাষ্ট্রদূত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2024, 12:33 PM
Updated : 14 March 2024, 12:33 PM

বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন ‘অংশীদার’ হতে আগ্রহী রাশিয়া; এর অংশ হিসেবে ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে এক বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মনতিৎস্কি তার দেশের এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।  

রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে আমরা একটি অংশীদারত্ব তৈরি করতে চাই। সেখানে কারিগরি সহায়তাসহ অন্য যে কোনো প্রকার সহায়তা দিতে রাশিয়া আগ্রহী।”

উভয় দেশের পর্যটকরা যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন, সেজন্য ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, “প্রতি বছর রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে রাশিয়ার যে সমস্ত পর্যটক এখন পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে ভ্রমণ করেন, তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন।

“বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা এই দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় করবে।”

জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করার জন্য কাজ করছি।”

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে রাশিয়ার মত বন্ধু রাষ্ট্রের উন্নয়ন অংশীদার হতে চাওয়া ও ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

ফারুক খান বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা আরো বৃদ্ধি করার কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা এ বছরই বাস্তবায়ন শুরু হবে।

“আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরো বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। রাশিয়ার পর্যটকদের আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে রাশিয়া বিনিয়োগ করলে তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।”