‘সেখানে উল্টো আমরা গাছ কেটেই চলেছি এবং যে কারণগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী, সেগুলোর লাগাম আমরা টেনে ধরছি না।’
সহনশীল কর এবং দীর্ঘমেয়াদি নীতি চান ব্যবসায়ীরা
কমিটির চেয়ারম্যান এবং আইসিএবি'র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরাও চাই সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাক। কিন্তু সেটি যেন যৌক্তিক হয়।”
Published : 16 Feb 2024, 10:59 AM
Updated : 16 Feb 2024, 10:59 AM
আগামী অর্থবছরের বাজেটে করের বোঝা সহনশীল রাখার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে দীর্ঘমেয়াদি করনীতি প্রণয়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইনকাম ট্যাক্সের প্রথম সভায় ব্যবসায়ীরা এই আহ্বান জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সংগঠনটির মতিঝিল কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক তপন কুমার মজুমদার।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা যথাযথভাবে কর প্রদান করে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই কর যেন ব্যবসায়ীদের জন্য বোঝা না হয়। তাহলে ব্যবসা, বাণিজ্য নিরুৎসাহিত হবে।
আগামী জাতীয় বাজেট থেকে উৎসে কর এবং ন্যূনতম করের খাত ধাপে-ধাপে কমিয়ে আনা; সরকারি ও বেসরকারি খাতে করদায়ের অসমতা হ্রাস; আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে কর রিফান্ড করা; ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় করা এবং অটোমেশন বাস্তবায়ন; এনবিআরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগকে শক্তিশালীকরণ এবং কর প্রদানকে উৎসাহিত করতে করদাতাদের যথাযথ মূল্যায়নসহ বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ উপস্থাপন করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।
সভায় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, “ভ্যাট, ট্যাক্স এবং কাস্টমস বর্তমানে ব্যবসায়ীদের রক্তক্ষরণের জায়গা। এসব নিয়ে গুরুত্বের সাথে কাজ করছে এফবিসিসিআই।”
সরকারের নীতি সহায়তা পেতে হলে সব অংশীজনকে সাথে নিয়ে সমন্বিতভাবে খাতভিত্তিক সুপারিশমালা প্রস্তুত করে সরকারের কাছে উপস্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও ব্যবসায়ীদের পরামর্শ চান তিনি।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং আইসিএবি'র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরাও চাই সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাক। কিন্তু সেটি যেন যৌক্তিক হয়। সেটি যেন ব্যবসায়ীদের আয় থেকে যায়, বোঝা না হয়।”
এ সময় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং এনবিআরের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তপন কুমার মজুমদার বলেন, “আমরা এনবিআরের সক্রিয় সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চাই।”
সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আলহাজ আজিজুল হক, কাওসার আহমেদ, মো. আমির হোসেন নূরানী, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা স্নেহাশিস বড়ুয়া, ড. বিএম দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সম্পর্কিত খবর
সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে দেশটির সহায়তাপুষ্ট এনজিওর ধারণা ফুটে উঠেছে।
খুচরা-পাইকারি, কোথাও ক্রেতা নেই। বিক্রেতারা বলছেন, লোকে এখন তুলনা করে ফুটপাতের সঙ্গে। দাম বলে কম।
