মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাসে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
Published : 27 Feb 2024, 06:34 PM
বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম আড়াই শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ভর্তুকির পরিমাণ বছরে ৫০০ কোটি টাকা কমানো যাবে বলে আশা করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারির পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক ব্যাখ্যায় এই আশা প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ৫.৩৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়।
আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩০ টাকা থেকে ২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা।
নতুন এই দর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ৮ ধরনের ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
গ্যাসের মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজির বর্তমান বাজার মূল্য ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬০০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশা।