আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পাঁচটি আলাদা প্রস্তাবে এক লাখ ৪০ হাজার টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার এসব প্রস্তাবের পাশাপাশি টিসিবির পণ্য কেনাকাটায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়।
এসব কেনাকাটায় আগের তুলনায় খরচ কিছুটা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ আহমেদ খান।
তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্সের জন্য ২৫ হাজার টন রক ফসফেট ৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটন রক ফসফেটের দাম পড়েছে ৩৩৪ দশমিক ৭৭ ডলার যা আগের লটে ছিল ৩৮০ ডলার। সেই হিসাবে দাম কিছুটা কমেছে।
বিসিআইসিকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুন্তাজাতের কাছ থেকে নবম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার ১৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকায় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফর্টিগ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন থেকে ৬০ হাজার ইউরিয়া সার একই দামে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটন সারের দাম পড়েছে ৬২৬ দশমিক ৬৭ ডলার, যা আগের কেনাকাটায় ৬৩২ ডলার ছিল।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বিএডিসিকে তিউনিশিয়া থেকে ১৪৮ কেটি ৬৫ লাখ টাকায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কেনাকাটায় প্রতি টনের দাম পড়েছে ৫৬২ দশমিক ৫ ডলার যা আগেরবার কেনা হয়েছিল ৭০৪ দশমিক ২৫ ডলারে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির জন্য এর আগে প্রতিকেজি ১৭১ টাকায় সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হলেও এবার ১৬২ টাকা ৯৪ পয়সায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব তোলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ৮৫ টাকা ৯৯ পয়সায় আট হাজার টন মসুর ডাল কেনার আরেকটি প্রস্তাবও দেয় মন্ত্রণালয়টি। এ দুই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের একটি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একটি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আটটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।