সংগঠনটি বলছে, গত চার মাসের বকেয়া বাবদ সরকারের কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর পাওনা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।
Published : 23 Jan 2025, 09:59 PM
গরমের মৌসুম শুরুর আগেই বকেয়া পরিশোধ করে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন–বিপ্পা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বিপ্পার নবনির্বাচিত সভাপতি কে এম রেজাউল হাসানাত।
এক সংক্ষিপ্তি প্রেজেন্টেশনে বিপ্পার সাবেক সভাপতি ইমরান করিম বলেন, গত চার মাসের বকেয়া বাবদ সরকারের কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর পাওনা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল তরল জ্বালানিভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর পাওনা ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
২০২০ সালে কোভিড মহামারী শুরুর পর থেকেই সরকারের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বকেয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে অনুষ্ঠানে বলা হয়, চুক্তিতে সর্বোচ্চ ৩০ দিন বিলম্বের সুযোগ থাকলেও পিডিবি ১২০ থেকে থেকে ১৮০ দিন, এমনকি ২০০ দিন পর্যন্ত বকেয়া করে ফেলছে।
বকেয়াকালীন এই সময়ের মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মত ‘লোকসান হয়েছে’ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সুদ বাবদ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ‘লোকসান হয়েছে’ বলে দাবি করছে বিপ্পা।
ইমরান বলেন, আগামী গ্রীষ্ম মওসুমে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে এখনই জ্বালানির এলসি খোলা প্রয়োজন।
“আজকে এলসি চালু করলে ৪৫ দিন পর সেই তেল কেন্দ্রে পৌঁছাবে। বকেয়া টাকা হাতে না পেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এলসি চালু করা সম্ভব নয়।”
বর্তমানে দেশে ৯০০০ মেগাওয়াট থেকে ১০,০০০ মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে তরল জ্বালানি থেকে মাত্র ৪০০-৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। গরমের মৌসুম শুরু হলে এই খাত থেকে অন্তত ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের যোগান দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, এবার গরমের মৌসুম আগেভাগেই, অর্থাৎ মার্চ মাসেই শুরু হতে পারে। সে কারণে তরল জ্বালানিভিত্তিক কেন্দ্রগুলো সচল করতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বিপ্পা সভাপতি কে এম রেজাউল হাসানাত বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে গত ডিসেম্বর থেকে তিনবার সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এখন আমার সাংবাদিকদের সামনে জানিয়ে রাখলাম। যেন পরে আমাদের কোনো বদনাম না হয়।”