মিশরের প্রস্তাব বিবেচনার কথার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে।
Published : 14 Feb 2024, 06:45 PM
পুনরায় পাট চাষ শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে প্রাচীন কৃষি সভ্যতার দেশ মিশর।
আর বিশ্বের অন্যতম তুলা আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিশরের কাছে তুলা উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন পরামর্শমূলক সহযোগিতা চেয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন ঢাকায় মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি, কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
এসব বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠক মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি তার দেশে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
মিশরের প্রস্তাব বিবেচনার কথার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে।
মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠালসহ শাকসবজি নেওয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী।
এছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা চান তিনি।
এসব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস বলেন, বাংলাদেশের কৃষিকে আরও বেশি রপ্তানিমুখী করা এবং প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে।
কানাডার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অর্গানাইজেশনের (টিএফও) সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন লিলি।
এছাড়া ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্নের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে সয়াবিন রপ্তানি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায়।