“বাজারে এত এত সোনা, অথচ সোনা আমদানি নেই কেন- এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই; উত্তরটা আমি খুঁজতে চাই।”
Published : 16 Feb 2025, 07:23 PM
দেশে সোনা চোরাচালানের ৯৯ শতাংশই ধরা পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “এই চোরাচালান দেশের মানুষের জন্য ভালো নয়, কারো জন্যই ভালো নয়। তাহলে এই খারাপ কাজটা আমরা কেন করে যাচ্ছি।”
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আর যদি বলেন এটা করছি না, তাহলে এগুলো আসে কোথা থেকে। আমরা ১০০ টার মধ্যে একটা ধরতে পারি; নানা কারণে ৯৯টা ধরতে পারি না।
“আপনাদের সমস্যাগুলো কী, আমাদের জানান। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে চাই।”
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “বাজারে এত এত সোনা, অথচ সোনা আমদানি নেই কেন- এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এর জবাবটা আমি খুঁজতে চাই।”
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের দেশের বাইরে খুন হওয়ার ঘটনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, চোরাচালান ঘিরে ‘মাল্টিন্যাশনাল কিলিং’ হয়েছে।
“গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি সোনা জব্দ হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এর জন্য বড় বড় শাস্তি আছে। আবার এই চোরাচালান ঘিরে অনেক খুনখারাবিও হয়।
“সবশেষ বড় একটা সেনসেশনাল ‘মান্টিন্যাশনাল কিলিং’ দেখেছি, যার লাশও পাওয়া যায়নি। বলা হয় উনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”
তিনি বলেন, “যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে সোনা আনেন, তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়। কিন্তু যারা আমদানি করেন, তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম।”
বৈঠকে বাজুস নেতাদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রয়, সহসভাপতি রিপনুল হাসান ও মাসুদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
বাজুস নেতারা বলেন, চার বছর ধরে আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর ব্যবসায়ীরা আর্থিক কারণে আমদানি করতে পারেনি। এনবিআরের উচিত করহার কমানো। আমদানি পদ্ধতি সহজ করার দাবিও তোলেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের বক্তব্য শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “অনেক প্রবাসী সোনা নিয়ে আসেন। তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্যাগেজ রুলসটা অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ব্যাগেজ রুলস পরিবর্তন করব, যেন ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারেন।”