‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’র উদ্যোগে এই কাজটি হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর।
Published : 30 Dec 2024, 01:38 PM
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য সরাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ‘গার্বেজম্যান লিমিটেড’ এবং হেমাস গ্রুপের প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘কুমারিকা’ যৌথ উদ্যোগে কাজ করেছে।
‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’র উদ্যোগে এই কাজটি হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’ বলছে, ওই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, গার্বেজম্যানের ৫ জন কর্মী এবং ১০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী মিরপুর চিড়িয়াখানা কাজ করেছেন।
ওই দিন তারা চিড়িয়াখানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। এরপর সেগুলো পুনঃপ্রক্রিয়া করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পরিবেশ সংরক্ষণে ‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’ এ ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে চলতি বছরের দশম মাস পর্যন্ত এই উদ্যোগের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ১৬৬টি বাড়ি, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ইভেন্ট মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার ২৪২ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে তারা।
প্লাস্টিকের এই বর্জ্যগুলোর মধ্যে পানির বোতল এবং জুসের বোতল পুনঃপ্রক্রিয়া করে পলিয়েস্টার স্টেপল ফাইবার তৈরি করা হয়, যা থেকে সুতা ও কাপড় তৈরি করা হয়।
আর শ্যাম্পুর বোতল, প্লাস্টিকের মগ-বালতি ইত্যাদি পুনঃপ্রক্রিয়া করে প্লাস্টিক লাম্বার তৈরি করা হয়’ যা কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া, চিপসের প্যাকেট এবং পলিথিন ব্যাগ পুনর্ব্যবহার করে গবাদি পশুর খামারের জন্য বিশেষ ফ্লোর ম্যাটও তৈরি করা হয়।
কুমারিকা ও গার্বেজম্যান’র কর্মসূচি নিয়ে হেমাস কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং তুষার কর্মকার বলেন, “হেমাস পণ্যের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে প্রাকৃতিক যত্ন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, প্রকৃতির যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সব সময়ই সচেতন।
“কুমারিকা ‘সেভ দ্য নেচার’ উদ্যোগটি পরিবেশের সুরক্ষায় হেমাসের সুদূরপ্রসারী চিন্তারই প্রথম ধাপ। তারই অংশ হিসেবে এই চিড়িয়াখানা পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি। যেটি জনসাধারণকে প্রকৃতির যত্নে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে। সেই সঙ্গে করবে।“
প্রাথমিকভাবে কেবল ঢাকায় এই কার্যক্রম শুরু হলেও ধীরে ধীরে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ‘কুমারিকা সেভ দ্য নেচার’।