ঢাকার কাপ্তান ও কারওয়ান বাজারে আগে থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
Published : 10 Nov 2024, 04:08 AM
সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করতে রাজধানীর আরও ১৩ বাজারে পাইকার ও ডিলারদের কাছে সরাসরি খামার থেকে ডিম পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার থেকে এসব স্থানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদের বির্তক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিমের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে গত ১৬ অক্টোবর থেকে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিম বিক্রির দর নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা দর ঠিক করে করে ভোক্তা বা খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া এ দরে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়বে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
তবে এ দরে ডিম পাচ্ছেন না ভোক্তারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সরকারি দরে বিক্রি করতে হলে এর চেয়ে কম দরে ডিম পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
এজন্য উৎপাদক থেকে বাজারের ডিলার বা পাইকারদের কাছে ডিম পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ঢাকার কাপ্তান বাজার ও কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছে দৈনিক ২০ লাখ ডিম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল।
মহাপরিচালকের ঘোষণার বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন কাপ্তান বাজার ও কারওয়ান বাজারে দৈনিক ১৩ লাখ ডিম দেওয়া হবে। অবশিষ্ট সাত লাখ পিস রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১৩টি বাজারে দেওয়া হবে।
এর মধ্যে ঢাকা সিটি উত্তরের মিরপুর-১, ১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট, উত্তরা ১০ ও টাউন হল এলাকায় সরবরাহ করা হবে।
অপরদিকে দক্ষিণ সিটির খিলগাঁও, জুরাইন, চিটাগাং রোড, সারুলিয়া বাজার, নিউ মার্কেট, শনির আখড়া ও কোনাপাড়ায় উৎপাদকরা নিজস্ব ডিলারের কাছে সরকার নির্ধারিত দরে ডিম পৌঁছে দেবেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি আলীম আখতার বলেন, ‘‘প্রান্তিক খামারিরা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মুরগির বাচ্চা, ফিড এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের যে রীতি গড়ে উঠেছিল তা থেকে খামারিদের মুক্ত করে উৎপাদন ও বিপণন আরো সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’’
এদিন ছায়া সংসদ বিতর্কে বিজয়ী হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি দল ও রানার আপ হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, আলমগীর হোসেন, ইকবাল আহসান, আতিকুর রহমান।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।