কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আর্ন্তজাতিক এবং টেকনাফের সাবরাং এ বিশেষ পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
Published : 18 Dec 2014, 07:36 PM
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে একটি হোটেলের মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ আর্ন্তজাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ মেলার আয়োজন করেছেন পর্যটন বিষয়ক পাক্ষিক পত্রিকা 'দ্য বাংলাদেশ মনিটর'।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, "চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চার লেনে সংযুক্ত করা ও ট্রেন যোগাযোগ এবং টেকনাফের সাবরাং এ এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করা হবে। এজন্য এগারশ' একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনো জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি।
“কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করতে ইতোমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে টেন্ডার মূল্যায়ন চলছে। আগামী মাসের মধ্যেই এটার কার্যাদেশ প্রদান করা যাবে।”
মেনন বলেন, "চট্টগ্রাম বাণিজ্য নগরীর পাশাপাশি পর্যটন নগরীও হবে। পর্যটন করপোরেশন থেকে প্যাকেজ টুরের ব্যবস্থা করতে চাই। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান ঘিরে পর্যটনের একটি সার্কিট হবে।
“বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এখন কার্গো আসছে। কার্গো ফ্লাইট চালু হয়েছে। সরাসরি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ফ্লাইট চালুর দাবিও আছে।“
“আমাদের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত গার্মেন্টস শিল্প। কিন্তু এ খাতে সিকি ভাগ ভ্যালু অ্যাড করি বাকিটা বিদেশেই থাকে। সেক্ষেত্রে পর্যটন খাতে শতভাগ ভ্যালু অ্যাড হয়। সেদিক থেকে পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার দিলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থানে এ খাত সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে।”
পর্যটন শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হয় না জানিয়ে মেনন বলেন, "পর্যটন শিল্পের যে বিকাশ প্রয়োজন তা হচ্ছে না। পৃথিবীব্যাপী অর্থনীতি,শিল্প-বাণিজ্যে পর্যটন শিল্প অবদান রাখছে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়।
“এই যে সম্ভাবনা তাকে কাজে লাগাবো কিনা সেটাই হল প্রশ্ন? পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। বেসরকারি খাতে যারা কাজ করছেন তারাও নানা অসুবিধায় আছেন।”
মন্ত্রী মেনন বলেন, "কেবিনেট সাব কমিটিতে ২০১৬ সালকে পর্যটন বছর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করেছি। আশাকরি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যটন কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।"
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দেশে পর্যটন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা নিরাপত্তা। নিরাপদ বোধ না করলে পর্যটকরা আসবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি বাংলাদেশ মনিটর এর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এ মেলায় দেশ-বিদেশের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।