আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের কারণে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে না পেরে বেনাপোল স্থল বন্দরে আটকে আছে বিপুল সংখ্যক পণ্যবোঝাই ট্রাক।
Published : 18 Sep 2014, 05:35 PM
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হরতালে বন্দরের কাজে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক ভবনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তে যাত্রী পারাপারের কাজও চলছে নিয়ম মতো।
“তবে সকাল থেকে দূর পাল্লার কোনো যান বন্দর ছেড়ে যায়নি। সন্ধ্যা নাগাদ পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলো ছেড়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, বুধবার ওপারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বিশ্বকর্মা পূজার’ ছুটি ছিল বলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার হরতালের মধ্যেও পুরোদমে আমদানি রপ্তনি কার্যক্রম চলে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। তবে আউটগোয়িং ও ইনকামিং পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।”
এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির কারণে হরতালের সমর্থনে বেনাপোল এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান ও শার্শা থানার ওসি আহম্মেদ কবির হোসেন।
নাশকতা এড়াতে বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।