চালু হওয়ার প্রায় চার মাসে লাভের মুখ না দেখা বিমানের ফ্রাংকফুর্ট ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
Published : 23 Aug 2014, 04:59 PM
রাশেদ খান মেনন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রুটটি আপাতত বন্ধের কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং এটিকে কিভাবে লাভজনক করা যায় আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছি।”
ব্যাংককের সঙ্গে রুটটি সংযুক্ত করে লাভ হবে কি না, তা-ও ভাবনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাত বছর বন্ধ থাকার পরে চলতি বছরের ৩১ মার্চ রোম হয়ে জার্মানির বাণিজ্যিক নগরী ফ্রাংকফুর্টে ফ্লাইট চালু করে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান। এ রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে এ রুটে ক্ষতির পরিমাণ ৭০ লাখ টাকা। এ হিসেবে গত ২১ সপ্তাহে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “এ রুটে এখনো কোনো লাভ আসেনি। বিমান পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুটটিকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
“আমরা দেখেছি, কাঠমান্ডু এবং কলকাতা থেকে এ রুটে ট্রাফিক জেনারেট করা সম্ভব।”
তবে ক্ষতির বোঝা না বাড়িয়ে এ রুটটি বন্ধ করে দেয়াই উচিৎ বলে মনে করছেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম।
“গত নয় মাসে বিমান যে চারটি রুট খুলেছে, এর কোনোটিই আগে থেকে মার্কেট স্টাডি করে খোলা হয়নি। আর এ কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে পরিণাম চিন্তা না করে রুট খুলে জনগণের ট্যাক্সের টাকা নষ্ট করা হচ্ছে।”
যারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন তিনি।
গত নয় মাসে ফ্রাংকফুর্ট ছাড়াও ইয়াংগুন, দিল্লি ও হংকং এ ফ্লাইট শুরু করে বিমান। এর মধ্যে নিজস্ব উড়োজাহাজে হজ ফ্লাইট চালানোর জন্য ইতোমধ্যে তিন মাসের জন্য দিল্লি ও হংকং রুট দুটি সাময়িকভাবে বাতিল করেছে বিমান।