ন্যূনতম মজুরি কমিশনের স্থায়ী চেয়ারম্যান ও ঢাকার বিশেষ জজ অমূল্য কুমার রায়কে প্রধান করে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণে ছয় সদস্যের বোর্ডের নাম চূড়ান্ত করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
Published : 30 May 2013, 01:47 PM
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই বাছাই শেষে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তারপর বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে।
নামের এই প্রস্তাব বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, ন্যূনতম মজুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদকে বোর্ডের নিরপেক্ষ সদস্য, এম সাইফুদ্দিনকে মালিক পক্ষের এবং এ কে ফজলুল হক মন্টুকে শ্রমিক পক্ষের সদস্য করার কথা বলেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের পর ছয় মাসের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করে এই বোর্ডকে প্রতিবেদন দিতে হবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৭ জুলাই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত তিন বছরে মূল্যস্ফীতির কারণে ওই কাঠামো পর্যালোচনা করার দাবি জানিয়ে আসছিল শ্রমিক সংগঠনগুলো।
প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের এই শিল্পে ৩৬ লাখের বেশি শ্রমিক জড়িত, যাদের অধিকাংশই নারী। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হলেও আগের মজুরি কাঠামোই সব কারখানায় ঠিকমতো অনুসরণ করা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন এবং গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের স্বল্প মজুরির বিষয়টি নতুন করে সামনে চলে আসে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পোশাক বর্জনেরও হুমকি দেয়া হয়।
এরপর পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করে সরকার যার প্রধান করা হয় বস্ত্রমন্ত্রীকে।
গত ১২ মে বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে অস্থিরতা নিরসন, কারখানা চালু রাখা এবং উৎপাদনের স্বার্থে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা হচ্ছে।