বিশ্ব ব্যাংক তার নতুন কান্ট্রি অ্যাসিসটেন্স স্ট্রাটেজির (সিএএস) আওতায় বাংলাদেশকে চার বছর মেয়াদে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থসহায়তা দেবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
Published : 30 Mar 2006, 07:00 PM
ওয়াশিংটন ডিসি'তে বিশ্ব ব্যাংকের সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত আলোচনার উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিবেচনা করে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় ক্ষেত্রেই সুশাসনের বিভিন্ন দিকসহ সরকারি ক্রয়, সরকারি অর্থব্যবস্থাপনা এবং বিচার বিভাগের সংস্কারের মতো ইস্যুগুলোর ওপর আলোকপাত করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংকের কৌশলে সুশাসনের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হলেও দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রের (পিআরএসপি) সাথে সামঞ্জস্য ঠিকই বজায় রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংেকের আবাসিক পরিচালক ক্রিস্টিন ওয়ালিক জানান, সিএএস সুশাসনের বিষয়টিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে। আমরা যে খাতেই জড়িত থাকি না কেন, সুশাসন সবসময় কেন্দ্রে অবস্থান করবে এবং ব্যাংকের সহযোগিতায় পরিচালিত প্রকল্পগুলোতে সুশাসন সংস্কারকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ধরা হবে।
বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়ন, দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠাÑ মূলত এই তিনটি প্রধান বিষয় ঘিরে সিএএস’র কার্যক্রম তৈরি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক বিদ্যুৎ খাত, পানি, পয়োঃনিস্কাশন, সড়ক, রেলওয়ে ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুশাসন সংস্কার ও বিনিয়োগকে সহায়তা দেবে।
এছাড়া অশুল্ক বাধা অপসারন, টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে প্রতিযোগিতার মানোন্নয়ন এবং বাণিজ্য পরিবহন অবকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে বাণিজ্য উদারীকরণ প্রচেষ্টা পরবর্তীতে চালানো হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনিক বাধা দুরীকরণ, শিল্প এলাকার মাধ্যমে অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে তোলা এবং বিনিয়োগ বোর্ড ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মতো সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর সিএএস আলোকপাত করে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে প্রকল্পটি সুশাসন সংস্কার ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেবে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যুক্তরাজ্যের আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন বিভাগ এবং জাপান সরকারের সম্মিলিত প্রয়াসে এই সিএএস প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০০৬ সালের জুন মাসের আগে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের দায়-দায়িত্ব প্রধান সম্পাদক বহন করবেন না।