কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় সীমিত জনবল দিয়ে শনিবার দেশজুড়ে ব্যাংক খোলা থাকলেও লেনেদেনে চাপ ছিল কম।
Published : 30 Apr 2022, 04:57 PM
ঈদের আগে শেষ দিন হিসেবে লেনদেন চলেছে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত; তবে ব্যাংক খোলা ছিল দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। ব্যাংক খোলা থাকবে না মনে করে বৃহস্পতিবারই ব্যাংকিং সেরেছেন বেশির ভাগ গ্রাহক।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংকে মানুষের আনাগোনা কম। সকাল পৌনে এগারটায় দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের মগবাজার শাখায় টাকা তোলা এবং জমা দেওয়ার কাউন্টারে মাত্র একজন গ্রাহককে দেখা গেল।
তবে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংকটির কারওয়ানবাজার শাখায়। সেখানকার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আল ফাহাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেকে বলেন, “আমাদের শাখায় সকাল থেকেই লেনদেনের চাপ ছিল। আশেপাশে মার্কেট থাকায় আমাদের এখানে লোকজন বেশি ছিল, তবে এই মধ্যম মানের লোকজনের আনাগোনা ছিল। বেশির ভাগ গ্রাহকই ছিলেন ব্যবসায়ী।”
বেলা ১১টায় সোনালী ব্যাংকের মগবাজার শাখায় এবং বেলা সাড়ে এগারটায় সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় গিয়ে দেখা যায়, খুব একটা গ্রাহক নেই।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মহসিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে তেমন কোনো গ্রাহক ছিল না। লোকজন আগেই তাদের কাজ সেরে ফেলেছিল”
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ফার্স্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে শুধু ব্যবসায়ীরা এসেছেন। কোনো বৈদেশিক লেনদেন হয়নি, কোনো অ্যাকাউন্ট ওপেন হয়নি, লেনদেন ছিল কম।”
শনিবারের লেনদেনের মাধ্যমে ঈদের আগের লেনদেন শেষ হয়ে গেল।
ঈদের পর বৃহস্পতিবার ফের লেনদেন শুরু হবে বলে সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
ঈদের আগে তৈরি পোশাককর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধায় এপ্রিল মাসের শেষ শুক্রবার শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিল।