রোজার শুরুতেই লেবু, তরমুজ ও বেগুনের দামে উল্লম্ফন নিয়ে শোরগোলের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, অতি মুনাফায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ী ও কৃষকরাও জড়িত।
Published : 16 Apr 2022, 11:31 AM
প্রতিবার রোজায় ইফতারির জন্য বেগুন ও লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এবার রোজা গ্রীষ্মে পড়ায় বাড়তি চাহিদা আছে তরমুজেরও। কিন্তু বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রোজায় এসব পণ্যের দামে এতটা হেরফের কিভাবে হচ্ছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এজন্য গত ৬ এপ্রিল গভীররাতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযানকারী দল দেখতে পায়, সেদিন কারওয়ান বাজারে মাঝারি মানের লেবু বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
পরিস্থিতি বুঝে ঢাকার হাতিরপুল, নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার কিংবা মিরপুরের পীরেরবাগ, বড়বাগ কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য বাজারে সেই লেবু বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ওই সময় শ্রীমঙ্গল ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডসহ অন্যান্য উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোতে কৃষক থেকে পাইকারদের কাছে লেবু হাতবদল হয়েছে হালি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। সেই হিসাবে কৃষকরা প্রতিটি লেবু বেচে পেয়েছেন সর্বনিম্ন ৫ টাকা। আর সেই লেবুই ঢাকায় ভোক্তাদের কিনতে হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। যদিও বছরের অন্য সময়ে প্রতিটি লেবু ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা অথবা সর্বোচ্চ ২ টাকা করে বিক্রি করে থাকেন কৃষকরা।
লেবুচাষি, আড়তদার ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাম বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ঢাকায় সরবরাহকারীরা। সেই সুযোগে ঢাকায় আড়ৎ ও খুচরা বিক্রেতারাও অতিরিক্ত মুনাফা করে নেন। তখন চাষিরাও বাড়তি দামের ‘সুফল’ পেতে শুরু করেন।
এখানে অতি মুনাফা বলার কারণ হচ্ছে, চাহিদা বেড়ে গেলেও কৃষি বিপণন বিধিমালা অনুযায়ী ইচ্ছেমত দামে পণ্য বেচার সুযোগ নেই।
গত বছরের ৩ নভেম্বর প্রকাশিত ওই বিধিমালা অনুযায়ী, খাদ্যশস্য (ধান, চাল, গম, ভুট্টা) এবং অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে মুনাফার সর্বোচ্চ হার ৩০ শতাংশ। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে এই হার যথাক্রমে ১৫ ও ২৫ শতাংশ। আর শাকসবজির ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ মুনাফার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মুনাফা হার যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ শতাংশ।
কারওয়ান বাজারে অভিযানের পর সেই বিধিমালার কথা মনে করিয়ে দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহম্মদ শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার লেবুর দাম কৃষক পর্যায়েও বেড়েছে। আবার কারওয়ান বাজারে নামার পর আড়তেও দাম কিছুটা বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। লেবুর মতো একইভাবে বেগুনের দাম কৃষক পর্যায়ে ৬০ টাকা হয়ে গেছে, যেটা পরে ঢাকায় ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল।
“ঢাকার দাম বাড়ার পর কৃষকরা অল্প দিনের মধ্যেই সেটা জেনে যান। সেকারণে তারা ঢাকার মূল্যবৃদ্ধির সুফলটা অনেক সময় নিতে পারেন। তবে কৃষি বিপণন বিধিমালায় একজন উৎপাদনকারী বা কৃষককে খরচের ওপর ৩০ শতাংশ লাভ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য স্তরেও লাভের হার নির্ধারিত আছে। আমরা এসব প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছি।”
রোজায় লেবুর দাম বৃদ্ধিতে কারা ভূমিকা রাখছে- এ প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার বলেন, “লেবুর মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আপাতত পাইকারি ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার বিষয়টি আমরা স্পষ্ট হয়েছি। কিন্তু কৃষক পর্যায়ে এবং খুচরা পর্যায়েও অতিমুনাফাজনিত বিষয় রয়েছে।
“এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করে এবং ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক, আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কৃষি বিপণন আইনে কোন স্তরে কতটা লাভ বা মুনাফা করা যাবে, সেটা নির্ধারিত আছে। আমরা এই আইন কঠোরভাবে প্রতিপালনের বিষয়ে তদারকি করব।”
কোন স্তরে কারা কীভাবে কত পরিমাণ অতি মুনাফা করছেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেবল তাদের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আরও নিবিড় অনুসন্ধানের পর এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে।
ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলছেন, “কৃষকের যা উৎপাদন খরচ তার থেকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ পেলে সেটা আর এমন কি! হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধির কৃষক হয়ত একটু ভালো দাম পাচ্ছে। কিন্তু কৃষক পর্যায়ে যেই দাম, সেটা কারওয়ান বাজারে এসে তিন-চার গুণ বেড়ে যাচ্ছে। উদ্বেগের জায়গাটা সেখানে, এখানেই আপত্তি।
“আমাদের সরবরাহ চেইনে হাতবদল হয় বেশি। কেউ কাঁচামাল নিয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে চায় না। কিন্তু লাভটা করতে চায়। সরবরাহ লাইনের মাঝামাঝি পর্যায়ে যারা থাকে, তারা লাভ করে হাতবদল করে ফেলে। অধিক হাত বদল হওয়ার কারণে দামটা বাড়ে।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, লেবু চাষের পর কৃষক কাছাকাছি যে আড়তে লেবু তোলেন, সেখানে পণ্যটি বিক্রি হয় আড়তদারির কমিশনে। অর্থাৎ একজন কৃষক একটি আড়তের মাধ্যমে লেবু বিক্রি করলে ওই আড়তদার সেখানে শতকরা ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকেন। সেই আড়ৎ থেকে নিলামের মাধ্যমে কেনা লেবুগুলো একজন পাইকার হয়ত সরাসরি ঢাকার পাইকারি বাজারে তোলেন অথবা ঢাকায় তার পরিচিতি কোনো পাইকারের কাছে হস্তান্তর বা হাতবদল করেন।
পরিবহন যোগে ঢাকায় আসার পর এই লেবু কিনে নেন মিরপুর-১ শাহআলী পাইকারি বাজার, কারওয়ান বাজারের মতো বড় পাইকারি বাজারের পাইকাররা। তাদের হাত থেকে ঢাকার মহল্লার সবজি বিক্রেতারা এবং ভ্যানে করে সবজির ফেরিওয়ালার লেবু কিনে বিক্রি করে থাকেন।
লেবুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে গোলাম রহমান বলেন, “আমাদের একটা শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে, যারা দাম যতই বাড়ুক প্রয়োজন হলে কিনে ফেলার সামর্থ্য রাখে। কিছু লোকের অবস্থা যে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
“কিন্তু সবাই তো আর সেটা অ্যাফোর্ড করতে পারে না। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কিছুটা বাড়লেও সেটা সার্বিক খরচের তুলনায় পিছিয়ে। সেকারণে লেবুর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে হইচই হচ্ছে, আবার বর্ধিত মূল্যে পণ্যটি বিক্রিও হচ্ছে।
তিনি বলেন, “অতীতের অভিজ্ঞতা হচ্ছে রোজার সময় ইফতারি আইটেমের দাম বেড়ে যায়। রোজার শেষের দিকে এসব পণ্যের দাম আবার পড়ে যায়। আমি মনে করি, ভারসাম্যপূর্ণ সরবরাহ চেইন থাকলে, হাতবদলের প্রবণতা কমে আসলে বেগুন, লেবুর মতো পণ্যও রোজার সময় খুব বেশি উঠানামা করবে না।”
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আড়তদার নির্মল আদিত্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে প্রতি পিস লেবু ৪/৫ টাকা ও হালি ২০ টাকা করে চলে। রোজার শুরুর দিকে দাম ৭/৮ টাকা ছিল। এখানে নিলামে লেবু বিক্রি হয়। দাম যা উঠে পুরোটাই কৃষক পায়।
“আমরা এখানে আড়তদারি বাবদ শতকরা ৫ টাকা করে কমিশন পাই। এখানে লেবু ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকায়ও বিক্রি হয়, যখন লেবুর উৎপাদন বেড়ে যায়।”
অবশ্য রোজার সময় অতি মুনাফায় কৃষক জড়িত থাকে বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যে প্রাথমিক ধারণা তা স্বীকার করে অন্য সময় যে লোকসান গুণতে হয় তাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন চাষিরা।
শ্রীমঙ্গলের জলিল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথম রোজা থেকে ৭ রোজা পর্যন্ত প্রতিটি লেবু ৭ টাকা করে বিক্রি করতে পেরেছি। ৭ তারিখের পর দাম কমতে কমতে ৩/৪ টাকায় নেমে এসেছে। বছরের মধ্যে রোজার মধ্যেই আমরা কিছুটা লাভ করতে পারি। বছরের বাকি সময়টাতে আমাদের লোকসান হয়।
“কারণ তখন একটা লেবু এক টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যায় না। যদিও একটা লেবু উৎপাদনে ২ টাকার মতো খরচ পড়ে। কিন্তু লেবু বাগানে মাল্টা, কলাসহ আরও কিছু ফলের চাষ করাতে কোনো রকমে পোষানো যায়।”
তাছাড়া খরা মৌসুমে লেবু চাষে সেচ খরচায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায় বলে জানান এই কৃষক। গ্রীষ্মের এই রোজায় লেবুর দাম বৃদ্ধিতে সেটিকেও একটি কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। জলিলের ভাষায়, “লেবুর উৎপাদন খরচ দুই বছর আগেও প্রতিটি এক টাকা হিসাব করা হলেও এখন পরিস্থিতি সেই রকম নেই। লেবু গাছে প্রচুর সার ও পানি দিতে হয়। এখন সারের দাম বেড়েছে। আর গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি ছিটানোর জন্যও আলাদা খরচ লাগে। ফলে একটা লেবু ২ টাকার নিচে বিক্রি করলে কৃষকের লাভ থাকে না।
“কোভিড মহামারীর মধ্যে চাষীরা লেবুর ভালো দাম পেয়েছে। মহামারী পরিস্থিতি শিথিল হয়ে যাওয়ার পরই দাম কমে যেতে শুরু করে। এখানে প্রতিটি ৫০ পয়সা কিংবা এক টাকাতেও লেবু বিক্রি হয়েছে রোজা শুরুর একমাস আগে।”
দিনদিন বাড়ছে লেবু-মাল্টার উৎপাদন
দেশে লেবুচাষ বহু পুরনো হলেও সরকারি উদ্যোগে দেশীয় প্রজাতির মাল্টার আবাদ শুরু হয়েছে ২০১২ সালে। সরকারি হিসাব বলছে, চাহিদা বাড়তে থাকার কারণে প্রতি বছরই লেবু ও মাল্টার আবাদও বাড়ছে।
সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মাল্টা এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আসে কমলার ফলন। আর লেবু পাওয়া যায় সারাবছর। গত দুই বছরে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে লেবু, মাল্টা ও কমলার চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় এসব ফলের আবাদ ও উৎপাদন।
সাধারণ চাষির পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে দেশের ৩০ জেলার ১২৩টি উপজেলায় লেবু চাষে সহায়তা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এই প্রকল্পে লেবু, কমলা, মাল্টা, বাতাবি লেবুর চাষাবাদে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে।
এর আগেও সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার পরিকল্পিত বাগান তৈরি করা হয়েছিল সারাদেশে। আর সর্বশেষ প্রকল্পের অধীনে ৫৪ হাজার ১০০টি বাগান তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোর আয়তন ৫ শতক থেকে ১০০ শতকের মধ্যে। বর্তমানে সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পিরোজপুর অঞ্চলের অ্যাসিডিক মাটিতে লেবুর চাষাবাদ হচ্ছে।
লেবুচাষ প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার লেবুগুলোর মধ্যে বারি-১, বারি-২, বারি-৩ জাত এলাচি লেবু নামে পরিচিত। এগুলো বছরে একবার ফলন আসে। মানের দিক থেকে এগিয়ে থাকা এসব লেবুর চাহিদা বেশি। বারি-৪ লেবু হচ্ছে প্রচলিত সিডলেস লেবু। বারি-৫ লেবু কলম্ব লেবু হিসেবে পরিচিত; নরসিংদী, গাজীপুর অঞ্চলে এই লেবুর আবাদ বেশি হয়।
এছাড়া দেশে চায়না থ্রি নামের লেবুর চাষাবাদ হয় ব্যক্তি উদ্যোগে। পাতলা চামড়ার এসব লেবু সারাবছরই ফলন হয়। লেবুর ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ১৫ টন লেবু পাওয়া যায় বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা গেছে।
অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের পরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮৫৪ হেক্টর জমিতে মাল্টা এবং ১৮৩১২ হেক্টর জমিতে লেবু চাষাবাদ হয়েছে। ওই বছর ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৮৪ টন লেবু এবং ৪৫ হাজার ৬২৪ টন মাল্টা উৎপাদন হয়েছে।
কৃষি বিপণন বিধিমালা অনুযায়ী লেবু উৎপাদক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ মুনাফা করতে পারবেন।
লেবু উৎপাদনের খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনোজিৎ বলেন, “মূলত উৎপাদন খরচ এক টাকার চেয়েও কম হয়। কৃষক সেগুলো সর্বোচ্চ প্রতিটি ২ টাকা করে বিক্রি করে। কিন্তু আমি করোনার সময়ে এক হালি লেবু ৮০ টাকা করেও কিনেছি।
“পাহাড়ে যে লেবু হয়, সেটা পতিত জমিতে হয়। সেখানে উৎপাদন খরচ বের করা কঠিন। বলা চলে পড়ে থাকা জমিতে সামান্য কিছু উদ্যোগ নিলেই লেবুর ফলন পাওয়া যায়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাল্টা ও লেবুর কিছু বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়েছে। আম বাগানের বেড়া হিসাবে অনেক সময় লেবুর চারা রোপণ করা হয়। সেখান থেকেও ভালো লেবুর ফলন পাওয়া যায়।”