বিদেশি সুতা দিয়ে পোশাক তৈরি করে রপ্তানি করলেও সরকারের নগদ সহায়তা পাবেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকরা।
Published : 25 Aug 2020, 07:55 PM
মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নীট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে সম্পূর্ণ দেশীয় সুতা ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা সুবিধা বলবৎ রয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়,
>> ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিদেশি সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের উপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে।
>> ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে। আলোচ্য ক্ষেত্রে, ইতোপূর্বে উক্ত রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা গৃহীত হয়নি মর্মে নিশ্চিত হতে হবে।
>> সম্পূর্ণ বিদেশি কিংবা দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা এবং ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একই সাথে প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।
>> এই নগদ সহায়তা গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাহাজিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং প্রয়োজনীয় দালিলাদিসহ নগদ সহায়তার জন্য পৃথকভাবে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করাতে হবে। আবেদনপত্র দাখিলের নির্দেশিত সময় ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে এ সার্কুলার জারির তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় আবেদনপত্র দাখিলযোগ্য হবে।
>> বস্ত্রখাতে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নগদ সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত অন্য সব নির্দেশনা যথারীতি অপরিবর্তিত থাকবে।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার যে ঘোষণা দিয়েছিল, তাতে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৪ শতাংশ অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছিল।
যে সব উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোনো অর্থবছরে ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মূল্যের বস্ত্র/বস্ত্রজাত সামগ্রী রপ্তানি করবে এবং কোন বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয় সেসব প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্র শিল্প হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোনো অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ শূন্য হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ সহায়তা পাবে না।